পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে টিকটক হৃদয়ের অন্যতম সহযোগী অনিক হাসান ওরফে হিরো অনিকসহ ৫জনকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব। হিরো অনিক মগবাজার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পাশাপাশি তিনি ইয়াবার কারবার করতেন। লকডাউনের মধ্যে তিনি ইয়াবা হোম ডেলিভারি করে আসছিলেন। গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, হিরো অনিক ইয়াবার কারবার করতেন। এছাড়াও তিনি সহযোগীদের নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা মানুষ ও পথচারীদের আটকে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতেন। হিরো অনিকসহ আটক সহযোগীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই হত্যা ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ইতোপূর্বে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ভারতের কেরালায় নারী পাচারের ঘটনায় স্থানীয় পুলিশের কাছে গ্রেফতার হওয়া টিকটক হৃদয় ওরফে বাবুর সঙ্গেও হিরো অনিকের সখ্যতা ছিল। হৃদয়কে বিভিন্ন সময় তিনি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সহযোগিতা করতেন। এছাড়াও হৃদয়কে তিনি ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করতেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। হিরো অনিক রাজধানীর মগবাজার, হাতিরঝিল ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের মূলহোতা। তার নামে হত্যা মামলা, মাদক, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ নয়টি মামলা রয়েছে। তার একটি গ্রুপ রয়েছে, যেখানে ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছেন। কিশোর বয়সে তিনি অপরাধের সাথে জড়িত হন। ২০১৬ সালে তিনি আলোচিত আরিফ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে পরিচিতি পান হিরো অনিক মগবাজার, মধুবাগ, মীরবাগ, নতুন রাস্তা, পেয়ারাবাগ, চেয়ারম্যান গলি, আমবাগান, ও হাতিরঝিল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে মাদকের কারবার চালাতেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হিরো অনিকের সহযোগীদের কারও কোনো পেশা নেই। তারা হিরো অনিকের নের্তৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতেন। শহিদুল ওরফে অ্যাম্পুলের নামে মাদক ও চুরির ছয়টি মামলা, আবিরে বিরুদ্ধে দুটি মামলা, সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু অপহরণ, মাদক ও ডাকাতির তিনটি মামলা, এবং হিরার বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত ও চুরির একটি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। হিরো অনিক সিন্ডিকেটের বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছি। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, পাঁচটি ধারালো অস্ত্র, একটি চেইন, ৩০০ পিস ইযাবা ট্যাবলেট, সাতটি মোবাইল ফোন ও নগদ তিন হাজার ৪০০ টাকা উদ্ধার করে র্যাব-৩ এর একটি দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।