বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ভালুকায় মোবাইলের কমেন্ট নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাঈম খান (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র খুন হয়েছেন। রোববার রাতে উপজেলার মেহেরাবাড়ি পশ্চিমপাড়া এ্যাপারেল চৌরাস্তায় সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সকালে সাঈম খান মারা যান। নিহত সাঈম খান হবিরবাড়ি গ্রামের সিডষ্টোর বাজার এলাকার নাজিম উদ্দিন খানের ছেলে ও শ্রীপুর আব্দুল আউয়াল ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে উপজেলার মেহেরাবাড়ি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে মিরাজ (১৫) একই গ্রামের আমান উল্ল্যাহ পাঠানের ছেলে সাব্বির (১৭), হাবিবুল্ল্যাহর ছেলে সোহাগ (১৬) ও সোলমানের ছেলে মনিরকে (২৪) জড়িয়ে ফেসবুকে নেশাখুর মন্তব্য করে একটি স্ট্যাটাস দেন। এরই জের হিসেবে রোববার সন্ধ্যায় মিরাজের বিচার করার জন্য মনির মোবাইল ফোনে নিহত সাঈম খানসহ ৭/৮ জনকে ডেকে আনেন। এসময় দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে সাঈম খান ও মিরাজ আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মাঝে সাঈম খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সকালে সাঈম মারা যান।
নিহত সাঈম খানের চাচা আফাজ উদ্দিন খান জানান, আমার ভাতিজাকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে।
আহত মিরাজের বড় বোন সুইটি আক্তার জানান, রোববার দুপুরে দুইজন অপরিচিত ছেলে বাড়ি এসে তার ভাইকে মারধর করে চলে যান। রাতে এ ব্যাপারে সালিশ হলে, সেখানেও ছোট ভাই মিরাজকে মারধর করলে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভালুকা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করি।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদল ইসলাম জানান, ফেসবুকে মন্তুব্য করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধিন এবং আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।