Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘লকডাউন’ বাড়তে পারে আরো ৭ দিন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২১, ৯:৫৩ এএম

প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে আরো সাতদিন বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ বাড়তে পারে। তবে ঈদের আগে পরিস্থিতি দেখে লকডাউন কিছুটা শিথিলও হতে পারে।
সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা যায়, সংক্রমণ রোধে ১৪ দিন এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য ২১ দিন লকডাউনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সে অনুযায়ী ঈদ সামনে রেখে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বুধবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা যায়।
কঠোরভাবে চলমান লকডাউন বাস্তবায়ন করতে অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ রেখে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব কাজ করছে। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করছে সরকার। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কমিটি শুরুতেই কঠোর লকডাউন বা শাটডাউন ১৪ দিন বহাল রাখার পরামর্শ দিয়েছিল। কমিটির পরামর্শে গত ১ জুলাই থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এরই মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধের চার দিন কেটে গেছে।
এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু কোনোটিই নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং রোববার দেশে এ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হয়েছে। আক্রান্ত সংখ্যাও সাড়ে ৮ হাজারের বেশি। এ অবস্থায় চলমান বিধিনিষেধ বুধবার মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা।
রোববার করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ১৪ দিনের শাটডাউনের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সাত দিনের লকডাউন চলছে। এটা আরো সাত দিন বাড়ানো প্রয়োজন। এটাই বিজ্ঞানসম্মত পন্থা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দুই এক দিনের মধ্যে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।



 

Show all comments
  • Meer Md. Shamsuddoha ৫ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৬ এএম says : 0
    এধরণের লকডাউন শুধু আমাদের মত সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কারণ ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shanto ৫ জুলাই, ২০২১, ১০:৫৯ এএম says : 0
    অহংবাদ/ মিথ্যা / ভণ্ডামি / ধোকা /প্রতারণা/ বিভ্রান্তি / অমানবিকতা / ক্ষতিকারক / শয়তানবাদের সর্বোচ্চ অন্ধকার যুগে বর্তমান বিশ্বে আমরা অবস্থান করছে। তাই সাধারণ মানুষ সর্বোচ্চ সতর্কতা সাবধানতা অবলম্বন করুন! আপনার সাধারণ বোধগুলোকে সক্রিয় করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। গভীর তদন্ত না করে অন্ধভাবে কোনও কিছু গ্রহণ বা বিশ্বাস করবেন না। একটা কথা সব সময় স্মরণ রাখবেন আর তা হলো - সর্বোচ্চ শয়তানবাদের এই যুগে রক্ষকরাই ভক্ষক এর ভূমিকা পালন করছে, আপনার চারপাশে এর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। সুতরাং বিশ্বাস একমাত্র শুধুমাত্র সত্যকে করা যায়। আর শুধুমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহ সমস্ত সত্তের উৎস। কিন্তু সাবধান ! শয়তান এবং এর অনুসরণ কারীরা নিজেদেরকে সত্যবাদী হিসেবে প্রকাশ করে অথচ এরাই সমস্ত ধরনের মিথ্যার উৎস! এরা বলে, কথিত ভাইরাস নাকি ভয়ঙ্কর! যার সত্যিকারের কোনো অস্তিত্ব নেই সেটি কে কেন্দ্র করে লকডাউন দিয়ে অসহায় দরিদ্র মানুষদের উপর লোভী স্বার্থপর শয়তানি ক্ষমতার অধিকারীরা নানাভাবে শোষণ নির্যাতন জুলুম করে তাদের বড় ক্ষতি করে চলছে। অথচ এরা কথিত ভাইরাস থেকে লক্ষ কোটি গুণ বিষাক্ত, এদের দ্বারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। যদি লকডাউন দিতে হয় তাহলে এই সকল বড় বড় মিথ্যুক ভন্ড প্রতারক জালেম শোষকদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হোক। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে কথিত ভাইরাসের নাম দিয়ে মানুষের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর যে কারণ বলা হচ্ছে তার আসল কারণ হচ্ছে বিষাক্ত খাদ্য বিষাক্ত পরিবেশ বিষাক্ত মোবাইল রেডিয়েশন বিষাক্ত মানসিক চাপ - যা শয়তান এবং এর অনুসরণকারীরা এই পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষের রূপ ধারী অমানুষ, যারা তাদের ভেতর শয়তানকে ধারণ করে শয়তানকে লালন করে, যারা নানাভাবে সাধারণ মানুষের সাথে মিথ্যা ধোকা প্রতারণা ভন্ডামি করে তাদের উপর নানাভাবে জুলুম শোষণ করে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষকে নানাভাবে তাদের ক্রীতদাসে রূপান্তর করছে, তাদেরকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে নিজেদের জীবনকে বিষাক্ত অভিশপ্ত করবেন না। সদা সর্বদা সবসময় সত্যের পক্ষে থাকুন। আর এই পৃথিবীতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সত্য হচ্ছে মনুষত্ব,ন্যায় বিচার, কল্যাণ, মানবতা, শান্তি। অথচ আজ এই পৃথিবীতে সত্তিকারের মনুষ্যত্ব ন্যায় বিচার কল্যাণ মানবতা শান্তি নেই। এরা নানাভাবে সাধারণ মানুষদের মানব অধিকার, মানব স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতাকে নানাভাবে ধ্বংস করছে। বড় বড় মিথ্যুক ভন্ড প্রতারক ধোকাবাজ শোষক জালেম - মানুষের রূপ ধারী অমানুষরা আজ মুখে মুখে মনুষত্ব ন্যায় বিচার শান্তির কথা বলে, অথচ তারাই এই পৃথিবীতে তাদের নিজস্ব লোভ স্বার্থ শয়তানি ক্ষমতার জন্য ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নানাভাবে অশান্তি সৃষ্টি করছে। আপনি যতই এদেরকে সহযোগিতা করবেন এরা ততোই শক্তিশালী হয়ে নানাভাবে আপনার উপর শোষণ-নির্যাতন করবে। সাধারন জনগন যদি এদের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড গুলোকে বন্ধ করতে বাধ্য না করে তাহলে কখনই তারা এ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখবে না। সুতরাং এদেরকে সকল ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা বন্ধ করুন, না হলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আপনি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ