করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আরও অন্তত ৭দিন বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’ বাড়তে পারে। সংক্রমণ ও মৃত্যু না কমায় আসতে পারে এ সিদ্ধান্ত। কারণ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই জানান কমপক্ষ্যে একটানা ১৪ দিন লকডাউন দিতে হয়। গতকাল একদিনে মারা গেছে ১৫৩ জন এবং শনাক্তের হার শতকরা প্রায় ২৯ শতাংশ। লকডাউনের মেয়াদ ৭দিন বাড়ানো হলেও ঈদের আগে পরিস্থিতি দেখে লকডাউন কিছুটা শিথিলও হতে পারে।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা যায়, সংক্রমণ রোধে ১৪ দিন এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য ২১ দিন লকডাউনের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সে অনুযায়ী ঈদ সামনে রেখে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বুধবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে জানা যায়।

কঠোরভাবে চলমান লকডাউন বাস্তবায়ন করতে অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ রেখে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব কাজ করছে। একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করছে সরকার। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
গত ১ জুলাই থেকে ৭দিনের বিধিনিষেধ শুরু হয়। সংক্রমণ কমিয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকাণ্ড দুটোই ভাবছে সরকার।

বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে গত ২৮ জুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, ৭দিনের পর এই বিধিনিষেধ বাড়ানোর বিষয়ে বিবেচনায় রয়েছে। ##