পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লকডাউনের চতুর্থদিন গতকাল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের চলাচল এবং রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেলেও রিকশা এবং অনেক প্রাইভেটকার চলতে দেখা গেছে। রাস্তায় আইন শৃংখলাবাহিনীর টহল থাকলেও তাদের তৎপরতা ছিল কম। অনেক এলাকায় অলি গলিতে দোকানপাট ছিল খোলা। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজরে ক্রেতাদের ভিড় ছিল অনেক। রাজধানীর ফার্মগেইট, মহাখালি, বনাননী, ধানমনন্ডি, পল্টন, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, এসব এলাকায় অবাধে অনেক লোকজন চলাচল করেছে। রাজধানীসহ সারাদেশে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবসহ আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল। তবে তাদের অবস্থান আগের মতো এত কঠোর মনে হয়নি। পুলিশ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে টহল, চেকপোস্ট ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। দোকানপাট, বিপনীবিতান, শপিংমল সবই ছিল বন্ধ। তবে পাড়া মহল্লায় দোকান খোলা ছিল এবং তাতে বেশ কিছু লোক সমাগমও দেখা গেছে। বিধিনিষেধ অমান্য করে অকারণে ঘোরাফেরা করায় ৬১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৬১ জনকে ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিএমপি ট্রাফিক কর্তৃক ৪৯৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আমাদের সংবাদাতারা সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন গতকালও প্রধান প্রধান সড়ক ছিল অনেকটা ফাঁকা। রিকশা এবং প্রাইভেটকার আগের চেয়ে ছিল কিছু বেশি। মিরপুর, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, মগবাজার, খিলগাঁও, রামপুরা, বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, সব সড়কে অনেক প্রাইভেট কার ও রিকশার চলাচল। কিছু কিছু অফিস খোলা থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অফিসের গাড়ি অথবা রিকশায় চলাচল করছেন। বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজারে ছিল ক্রেতার ভিড়। এ ছাড়া আমাদের সারাদেশের সংবাদদাতারা লকডাউনের চতুর্থ দিনের যে তথ্য পাঠিয়েছেন তা তুলে ধরা হলো।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও চতুর্থ দিনের মত কঠোর লাকডাউন চলছে। আইন-শৃংখলা বাহিনী মাঠে তৎপড়তার মধ্যে বরিশাল মহানগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি শহর সহ উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্বম বরিশাল নদী বন্দরেও কার্যক্রম বন্ধ। দক্ষিণাঞ্চলে অভ্যন্তরীন ও আঞ্চলিক অন্তত ৫০টি রুটে সড়ক পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি ৩০টি নৌ রুটেও সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সিলেট ব্যুরো জানায়, লকডাউন বাস্তবায়নে দৃঢ়তা দেখাচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা। নগরীসহ বিভিন্ন জায়গায় অব্যাহত ছিল টহল। তারপরও যান ও মানুষের চলাফেরা বেড়েছে কিছুটা সিলেটে। এদিকে, লকডাউনে সাধারন মানুষের উদাসীনতায় আফসোস প্রকাশ করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, লকডাউন অমান্য করায় জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ঘোষিত লকডাউনে নোয়াখালীতে সকল ধরনের দুরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফাঁকা রয়েছে অধিকাংশ সড়ক। জেলার বিভিন্ন সড়কে কয়েকটি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে।
বাগেরহাট সংবাদদাতা জানান, লকডাউনের ৪র্থ দিনে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় রোদ ও বৃষ্টির মধ্যেই আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা জুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বিধি ও লকডাইন না মানা ১৫ টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৪০ টি মামলা দিয়ে ১৪২ জনকে ৩১ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা করেছে। বাগেরহাটের হাট-বাজারে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া লোকের সংখ্যাও কম। তবে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে জরুরি পণ্য সরবরাহ ছাড়াও কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি এবং পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল লক্ষ করা গেছে।
ভোলা জেলা সংবাদদাতা জানান, লকডাউন সফল করার জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে জেলা, উপজেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলা এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে। সাথে রয়েছে নৌবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও ব্যাটেলিয়ন আনসার সদ্যস্যরা। স্বা¯্য’বিধি না মানায় ৫৯ টি মামলায় ৬৫ জনকে ৭৫৪০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং ৪ জনকে ৩ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
দিনাজপুর অফিস জানায়, কঠোর লোকডাউনে জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, ও আনসার সদস্যদের নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বাজার, অফিস ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ঘরের বাহির হচ্ছেই। যৌক্তিক কারণ না পেলে জরিমানা করছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে জেলায় লোকডাউন না মানায় জেলায় ৪৮১টি মামলা ও ২ লক্ষ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, কঠোর লকডাউন বিনা কারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানা, মুখে মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেলার ৯টি উপজেলায় ২৬১টি মামলা দায়ের করা হয়। সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৪৭ জনকে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮০ টাকা জরিমান করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। চলমান লকডাউনে সিরাজগঞ্জ জেলায় জনসচেতনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তিন প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন সেনা বাহিনী ও আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে প্রতিদিন কাজ করছে।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলায় কঠোর লকডাউন হচ্ছে। মার্কেট, দোকানপাট সব বন্ধ। জেলা সদরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়, রাজবাড়ী রাস্তার মোড়সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মোঃ আলীমুজ্জামান, সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুকসহ বিজিবি, র্যাব, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্তাবৃন্দ।
মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানায়, লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সকাল থেকে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলের নেতৃত্বে ১৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার সদস্যরা। প্রশাসনের যৌথ অভিযান শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ হাট-বাজারেও চলছে। ৪ উপজেলায় দুপুর ৭৬ মামলায় ৭৯হাজার ৭‘শ টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।
মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, লকডাউন কার্যকর করতে মাগুরায় সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত আছে। সকালে মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে সদর উপজেলা গেট, সরকারি বালক বিদ্যালয় ও স্টেডিয়াম গেটে তিন স্তরে চেক পেষ্ট বসিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। মহাসড়ক ছাড়াও তারা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দেয়।
নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানায়, লকডাউনের চতুর্থ দিনে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৭১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নরসিংদীর সাতটি ভ্রাম্যমান আদালত সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ আইন ২০১৮ অনুযায়ী এসব ব্যক্তিদের নিকট থেকে থেকে ৭২ হাজার তিনশত টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এর আগে গত শনিবার স্বাস্থ্য বিধি ভঙ্গের দায়ে ৮৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, কঠোর বিধিনিষেধের ৪র্থ দিনে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। সকাল থেকেই পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা’র নেতৃত্বে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ শহরের সর্বত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। এ সময়ে অযথা ঘোরাঘুরির জন্য অনেককে জরিমানাও গুনতে হয়েছে। যারা জরুরি কাজে বের হচ্ছেন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর মোটরসাইকেল আরোহীদেরও কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপ্রয়োজনে মোটর সাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হওয়া এবং কাগজপত্র না থাকায় ৩১ টি মোটরসাইকেল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ৮৪ জনকে জরিমানা করে ৫৪ হাজার ৬৫০ টাকা আদায় করেছে।
রাঙামাটি থেকে স্টাফ রিপোর্টার, কঠোর বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে চতুর্থ দিনেও রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কে সহায়তা করতে মাঠে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। রাঙামাটির বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছেন তারা। ৫টি মোবাইল টিমসহ শহরের ১০টি স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন এবং জনগণকে সচেতন করে তুলতে মাইকিং করছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, লকডাউনের চতুর্থ দিনেও সড়কে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান রয়েছে। জেলায় ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে শক্তিশালী জেলা পুলিশের সঙ্গে আছে ১শ সেনাবাহিনী, ২ প্লাটুন বিজিবি ও ১ প্লাটুন আনসারসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হোটেল রেস্তোরাঁ, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া শহরের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৫৪টি চেকপোষ্ট বসিয়ে লকডাউন কার্যকর করতে কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। এছাড়া র্যাব ও আনসার সদস্যরাও মাঠে টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নির্বাহী ম্যাজিসস্ট্রেটদের নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে কাজ করছে। বিনা কারণে কেউ রাস্তায় বের হলে ও মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখা গেলেই ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করছে। পুরো জেলায় শহর এলাকায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
মেহেরপুর সংবাদদাতা জানান, জেলায় কঠোর লকডাউন পালন করা হচ্ছে তারপরও সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না। গত ২৬ জুন থেকে গত ২ জুলাই পর্যন্ত এক সপ্তাহে ১২২২ টি ফলাফলের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮১ জন। যার আক্রান্ত হার ৪৩ শতাংশ। এছাড়া এক সপ্তাহে মেহেরপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, লকডাউনের চতুর্থ দিন নওগাঁয় প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। তবে সড়কে কড়াকড়ি থাকলেও কাঁচাবাজার ও শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে আড্ডা ও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এছাড়া, আগের তিন দিনের চেয়ে সড়কে লোকজনের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার ১১টি উপজেলায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। এছাড়াও য়ারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, অপ্রয়োজনে ঘুরাফেরা ও আড্ডা দিচ্ছে তাদেরকে মামলা এবং জরিমানা করা হয়েছে।
পঞ্চগড় সংবাদদাতা জানান, কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনেও চিরচেনা ঠিক আগের মত স্বাভাবিক পথ চলার চিত্র পঞ্চগড়ের। প্রতিদিনই শত শত মানুষের সমাগম ঘটছে। অনেকেই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শহরে আসছে। সড়কে বেড়েছে ছোট ছোট (ব্যাটারিচালিত) যানবাহনের চাপ। উপজেলা শহরগুলোর দোকান-পাট বন্ধ থাকলেও গ্রামীণ হাট বাজার দিব্বি চলছে। এদিকে দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এক মাসের করোনা পজিটিপ রোগীর সংখ্যা এখন একদিনে হচ্ছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তবে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিধি-নিষেধ অমান্যকারীদের করা হচ্ছে জরিমানা।
রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, লকডাউনের চতুর্থ দিন মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। সকাল থেকেই মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবসহ জেলা প্রশাসনের একাধিক টিমকে টহল দিতে দেখা গেছে। লকডাউন বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে পুলিশ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই জেরার মুখে পড়ছেন পথচারীরা। কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানাও করা হচ্ছে। মহানগরী ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায়ও একই অবস্থা চলছে। কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।