Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গোয়ালন্দে চায়না দুয়ারী দিয়ে চলছে অবাধে মাছ নিধন

মোজাম্মেল হক, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে: | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় মাছের প্রজনন মৌসুমে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এবার চায়না দুয়ারী বা ঢলুক জালের ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির সব মাছ অবাধে ধরা হচ্ছে। সহজেই মাছ ধরার আশায় এই চায়না দুয়ারী ব্যবহার করে জেলেরা মাছ ধরা শুরু করেছে ।

জানা গেছে, নদীতে থাকা মিঠা পানির সব ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছ চায়না দুয়ারীর এই জালে নিধন হচ্ছে। এতে ওই এলাকার নদ-নদীতে ক্রমেই দেশীয় জাতের মাছ কমে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চায়না দুয়ারী সাধারণত এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা ৬০ থেকে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ক্ষুদ্র ঢলুক আকৃতির হয়ে থাকে। লোহার ৪টি রড ও রডের রিং দিয়ে বক্স আকারে তৈরি করে চারপাশে জাল দেওয়া থাকে। এই জালের বিশেষ বৈশিষ্ট হলো নদীর তলদেশে লম্বালম্বি ভাবে লেগে থাকে। ফলে কোন প্রকার খাদ্য দ্রব্য ছাড়াই দুই দিক থেকেই মাছ ঢুকতে পারে তবে কেউ কেউ অতিরিক্ত মাছের আশায় ঘ্রাণ জাতীয় খাবার দিয়ে থাকে। একটি চায়না জালের দাম ৩ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত।
নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, বিকাল হলেই ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে এই জাল পাতা হয়। রাতে পেতে রাখার পর সকালে তুলে আনা হয় পাড়ে। এ সময় জালে ধরা পড়ে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় সব মাছ, নদীতে থাকা জলজ প্রাণী এমনকি উঠে আসে মাছের ডিমও।
গোয়ালন্দ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, চায়না দুয়ারী দিয়ে মাছ শিকার করা বেআইনী কাজ। সকল প্রকার নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণা চলমান রয়েছে। আমরা সকল প্রকার নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে এবং আরো জোরালো ভাবে চালানো হবে বলেও তিনি জানান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ