Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূলধন হারাচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ

মো.আরিফ হোসেন, দুমকি (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

দেশব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারি বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় দেশব্যাপী গত ১ জুলাই থেকে ১ সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। বন্ধ দোকানপাট। বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য। চলছে না গণপরিবহন। ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের করুণ দশা জীবন-জীবিকায়। কিভাবে চলবে সংসার ও ঋণের কিস্তি এ চিন্তায় দিশেহারা।
দুমকি উপজেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর লকডাউনে যে ক্ষতি তাদের হয়েছে সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতেই কতদিন লাগবে তা জানা নেই। তার ওপর আবারও লকডাউন। দুমকির অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ব্যাংক বা সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। কারোর সাপ্তাহিক কিস্তি বা আবার মাসিক কিস্তি। ব্যবসায়ীদের যে কোন মূল্যে এই কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই লকডাউনে বন্ধ থাকায় কেনা-বেচা তো দূরে থাক চরম বিপাকে পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। করোনায় সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সিনেমা হলের দক্ষিন পার্শ্ববর্তী নাসির উদ্দিন জানান লকডাউনের আগে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে চা-বিস্কুট, পান-সুপারি বিক্রি করে যে লাভ হয় তাই দিয়েই সংসার চালাই, ঋনের কিস্তি আছে কিস্তি দেই। কিন্তু এখন তো লকডাউনে বাসায় বসে বসে দিনকাটাই কবে আবার খুলতে পারব দোকান।
অন্য দিকে কৃষি ব্যাংকের নিচে চা বিক্রেতা বাবু লাল ও রবিন চন্দ্র বলেন, দোকান তো বন্ধ বাইরে যে অন্য কাজ করব তাও বন্ধ বাসায় বন্দী জীবন কাটাই আয়-রোজগার নাই সরকার যদি আমরা যারা ক্ষুদ্রব্যবসায়ী তাদের সহায়তা না করে পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন এভাবে থাকলে হয়ত না খেয়েই মরে যেতে হবে। আমরা ব্যবসায়ীরা আর্থিক সহায়তা চাই। প্রতিনিয়ত মাথার ওপর ঋণের বোঝা ভারী হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতি বেশি দিন থাকলে দোকান বন্ধ করে অন্য পন্থাঅবলম্বন করা ছাড়া কোন গতি থাকবে না।
এ বিষয়ে দুমকি নতুন বাজার কমিটির সভাপতি ফজলুল হক বলেন- এই লকডাউনে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ঠিকই তারপরেও এই মহামারী থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সরকারের সিদ্ধান্তগুলি মেনে চলার অভ্যস্ত হতে হবে। এহেন প্ররিস্থিতিতে এ সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের যদি স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কিছুটা উৎজীবিত হবে এবং আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ