বরিশালের উজিরপুরের জামবাড়ি গ্রামের বাসুদেব চক্রবর্তী হত্যা মামলার আসামী মিতুকে রিমান্ডে নিয়ে শারিরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে আদালতের নির্দেশে হাসপাতাল থেকে মেডিকেল পরিক্ষা সহ পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কতৃপক্ষ মিতুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে ইতোমধ্যে রিপোর্ট আাদালতে পাঠিয়েছেন। অপরদিকে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম অক্তারুজ্জামানের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করছেন রেঞ্জ অফিসের এসপি শোয়েবুর রহমান। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২৬ জুন বাসুদেব চক্রবর্তীর লাশ মিতু অধিকারীর বাড়ী সংলগ্ন ডোবা থেকে উদ্ধারের পরে নিহতের ভাই ২৭ জুন উজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ২৮ জুন মিতুকে গ্রেফতার করে ২৯ জুন আদালতে হাজির করে পুলিশ দুদিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত তাকে দুদিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে মিতু অধিকারী আদালতের সামনে পুলিশ হেফাজতে তার ওপর শারিরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। তদন্ত কর্মকর্তা ইনেসপেক্টর মঈনুল লাঠি দিয়ে মারপিট করলে মিতু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান ফেরার পরে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখতে পায়। এ ছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা মিতুর শরিরের বিভিন স্পর্ষকাতর স্থানে হাত দিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করে বলেও সে আদালতে অভিযোগ করে।
আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন)আইন ২০১৩ এর ৪(১)(খ) ধার অনুযায়ী মিতুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে তার শরিরে জখম ও নির্যাতনের চিঞ্হ সহ নির্যাতনের সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবদেন দাখিলের জন্য শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কতৃপক্ষ মিতুকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্বাস্থ্য পরিক্ষা সহ তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেছে। কতৃপক্ষ শণিবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে করোনা কালীন সময়ে রোববার জুডিসিয়ল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহফুজুর রহমানের আদালত না বসায় কোন আদেশ হয়নি বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে মিতু অধিকারীকে হাসপাতাল থেকে জেল হাজতে পাঠান হয়েছে। অপরদিকে ডিআইজি’র গঠন করা তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছে বলেও জানা গেছে।