Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা উদ্ধার ও পুনরায় অপহরণ রহস্য ঘেরা

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২১, ৪:০৬ পিএম

উখিয়ার বালুখালী থেকে কথিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তার অপহরণ, তিনদিন পর ফিরে আসা ও আবার অপহরণ হওয়ার বিষয়টি রহস্য ঘেরা বলে জানা গেছে।

আল আরফা ইসলামী ব্যাংকের উখিয়া বালুখালী শাখার ক্যাশ অফিসার হাফেজ হামিদুল হোসেনকে ৩০ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ করেছিল কেবা কারা। এর পর সন্ত্রাসীরা তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল।

জানা গেছে, তিন দিন ধরে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তাকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের ডেরায় আটকে রেখে নির্যাতন করে আসছিল।

কক্সবাজারের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বেলাল উদ্দিন জানান, গত ৩০ জুন সকালে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। টেকনাফের কানজরপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে উখিয়ার কুতুপালং বাজারের কর্মস্থল উক্ত ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় আসছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ হোসেন।

আসার পথে বালুখালী বাজার সংলগ্ন রোহিঙ্গা শিবিরের একদল রোহিঙ্গা অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে।

অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ হোসেনের চাচা খাইরুল বাশার জানান- তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, কর্মস্থলে যাওয়ার পথে হামিদ হোসেনকে তালহা নামে এক রোহিঙ্গা ফোন করে বালুখালীর পানবাজারে নামতে বলেন। তার কিছুক্ষণ পর থেকে নিখোঁজ হন হামিদ।’ অভিযোগে বলা হয়েছে বালুখালী থেকে তাকে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বলে পরিচিত ‘আল ইয়াকিন’র সদস্যরা হামিদকে তুলে নিয়েছে।

অপহৃতের চাচা আরো জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের ডেরায় হামিদকে আটকিয়ে মারধর করে এবং তার বাবা খাইরুল আলমের কাছে মোবাইলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে উখিয়া ও টেকনাফ থানাসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের ঘটনাটি অবহিত করা হয়।

এরপর আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠলে শুক্রবার রাতে অপহৃত ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হামিদ নিজ ঘরে অসুস্থ অবস্থায় বিশ্রামে ছিল।

কিন্তু শনিবার রাতে হামিদকে আবারো কেবা কারা অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানান, গত রাতে তিনটি সিএনজিতে করে গিয়ে পুলিশের কিছু লোক নাকি হামিদকে নিয়ে গেছে।

এবিয়ে খবর নিতে তিনি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি, টেকনাফ থানা, উখিয়া থানা ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যোগাযোগ করে এর কোন সত্যতা পাননি বলে জানান। তারা সবাই হামিদকে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন বলেও তিনি জানান।

এতে করে হামিদের পরিবারে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে এভাবে বারবার অপহরণের সাথে জড়িত এরা কারা? এরা কী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী? নাকি ওই ব্যাংক কর্মকর্তা অন্য কোন অবৈধ লেনদেনের বলী?

তবে একটি বিশ্বস্থ সূত্র দাবী করেছে, হামিদের বাড়িতে কিছু রোহি লোকজন যাতায়াত করত এমন তথ্য আছে। এসুবাদে অবৈধ হোন্ডির টাকা লেনদেন বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায়না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ