Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা উদ্ধার

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২১, ৯:৩৩ এএম

কথিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত এক ব্যাংক কর্মকর্তার (ক্যাশ অফিসার) মুক্তি মিলেছে তিন দিন পর। প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল।

জানা গেছে, তিন দিন ধরে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তাকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে সন্ত্রাসীদের ডেরায় আটকে রেখে নির্যাতন করে আসছিল।

কক্সবাজারের আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বেলাল উদ্দিন জানান, গত ৩০ জুন সকালে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। টেকনাফের কানজরপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে উখিয়ার কুতুপালং বাজারের কর্মস্থল উক্ত ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় আসছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ হোসেন।

আসার পথে বালুখালী বাজার সংলগ্ন রোহিঙ্গা শিবিরের একদল রোহিঙ্গা অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে।

অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ হোসেনের চাচা খাইরুল বাশার জানান- তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, কর্মস্থলে যাওয়ার পথে হামিদ হোসেনকে তালহা নামে এক রোহিঙ্গা ফোন করে বালুখালীর পানবাজারে নামতে বলেন। তার কিছুক্ষণ পর থেকে নিখোঁজ হন হামিদ।’ অভিযোগে বলা হয়েছে বালুখালী থেকে তাকে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বলে পরিচিত ‘আল ইয়াকিন’র সদস্যরা হামিদকে তুলে নিয়েছে।

অপহৃতের চাচা আরো জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের ডেরায় হামিদকে আটকিয়ে মারধর করে এবং তার বাবা খাইরুল আলমের কাছে মোবাইলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে উখিয়া ও টেকনাফ থানাসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের ঘটনাটি অবহিত করা হয়।

এরপর আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠলে শুক্রবার রাতে অপহৃত ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হামিদ এখন নিজ ঘরে অসুস্থ অবস্থায় বিশ্রামে রয়েছেন।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ ও টেকনাফ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক তোফায়েল ইসলাম জানিয়েছেন, অপহরণের তিন দিনের মাথায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা শুক্রবার রাতে ব্যাংক কর্মকর্তা হামিদ হোসেনকে ছেড়ে দিয়েছে।

এলাকার লোকজনের অভিযোগ, কথিত আল-ইয়াকিন দাবি করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এখন সন্ত্রাসীদের মূল কাজ। সশস্ত্র এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে তাদের অধিপত্য কায়েমের মাধ্যমে নানা অপরাধজনক কাজে লিপ্ত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ