Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অর্থনীতির জন্য সুবাতাস

সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতির উজ্জল সম্ভবনায় ভরসা যোগাচ্ছে পোশাকশিল্প, দীর্ঘদিন পর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে পাওয়া পুঁজিবাজার এবং টিকা পাওয়ার সুসংবাদ। এক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতির জন্য

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বব্যাপী ধীরে ধীরে কমতে থাকে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়ে। গত বছরের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলে অবস্থা আরও জটিল হয়। সরকার দীর্ঘ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে স্থবিরতা নেমে আসে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে করোনা প্রতিরোধের প্রধান হাতিয়ার টিকা কার্যক্রম চালু হওয়ায় অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে এগোতে থাকে দেশের পোশাকশিল্প ও শেয়ারবাজার। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি টালমাটাল। দেশে লকডাউন চলছে। তখনও ভরসা যোগাচ্ছে সেই পোশাকশিল্প, দীর্ঘদিন পর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে পাওয়া পুঁজিবাজার এবং টিকা পাওয়ার সুসংবাদ। এক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতির জন্য নতুন হাতছানি ইউরোপ-আমেরিকায় করোনার প্রকোপ কমে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়া। ওইসব উন্নত দেশের বিনিয়োগকারীদের আস্থার যায়গা এখন বাংলাদেশ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের প্রচেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সমন্বিত পদক্ষেপে কিছুদিন বিরতির পর আবার বড় অঙ্কের টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার রাতে এবং শনিবার ভোরের মধ্যে মাত্র ৯ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে ৪৫ লাখ টিকা পায় বাংলাদেশ। যা একবারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টিকা প্রাপ্তি। এর আগে গত জানুয়ারিতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট ক্রয়কৃত ৫০ লাখ টিকার চালান বাংলাদেশে পাঠায়। কিন্তু মোদী হঠাৎ করে সেরামের টিকা বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করায় বিপাকে পড়ে দেশ। তবে সে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে কারণে এ মাসেই বড় অঙ্কের টিকা আবারও দেশে আসছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ কোটি টিকা আসবে। তিনি বলেন, আমরা জোরেশোরে শুরুর পরও কাঙ্খিত টিকা না পাওয়ায় তা ধরে রাখতে পারিনি। আশা করছি টিকার আর কোনো অভাব হবে না। আমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাচ্ছি, আগামীতে আরও পাব। ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি টিকা আসবে, যা ৫ কোটি মানুষকে দেয়া যাবে।

জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ কম। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, পানির মতো পরিষেবার মূল্য কম। আর এসব বিষয় মিলিয়ে বাংলাদেশ অবশ্যই বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় জায়গা। তিনি বলেন, আমরা বিনিয়োগে আগ্রহী বিভিন্ন দেশকে বলেছি, সব ধরনের সহযোগিতা করব, বিনিয়োগ করুন। আশাবাদী খুবন শিগগিরই দেশে বড় বিনিয়োগ আসবে।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান ইনকিলাবকে বলেন, ইউরোপ-আমেরিকাসহ পশ্বিমা বিশ্বের মানুষের জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। মার্কেটসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। তাই গত কিছুদিন পোশাকের অর্ডারও ভালো। ইতোমধ্যে কাজের পরিবেশ, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও মান উন্নত করায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি বাংলাদেশে ফিরে আসছে। এছাড়া অন্যান্যরা ফিরছে। অর্ডার যেভাবে বাড়ছে আশা করছি অক্টোবরের মধ্যে পোশাক খাত করোনার আগের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আবার ফিরবো। তাই দ্রুত মানুষকে টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা করতে পারলে দেশের জন্য ভালো হবে। একই সঙ্গে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে যারা দেশের অর্থনীতি সচল রেখেছে এরমধ্যে অন্যতম নাম পোশাক শ্রমিক। তাদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা প্রদানের অনুরোধ জানান ফারুক হাসান। তিনি বলেন, যা বর্হিবিশ্বে বাংলাদের ভাবমূর্তি আরও উজ্জল করবে।
আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য টিকাই হতে পারে দেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে অন্যতম হাতিয়ার এবং বিদেশী বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও অনেকের মতে, প্রতিবেশী দেশ ভারতও চাইবে ইউরোপ-আমেরিকার বিনিয়োগ আকর্ষণের। এ জন্য ইতোমধ্যে তারা করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে ক্রয়কৃত টিকা না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করে নিজ দেশে প্রতিদিন ৫০ লাখেরও বেশি মানুষকে টিকা দিচ্ছেন। ভারতকে অনেক দেশ আস্থায় রাখতে পারছেনা। কিন্তু ভারত টিকা দিলেও বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারছে না, কারণ ভারত ভূ-রাজনৈতিকসহ অন্যান্য কারণে নানা সুযোগ সুবিধা নিতে বিভিন্ন দেশের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ করে তারা। তাই ভারত থেকে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র মতে, দেশে আবারও বেড়েছে করোনার প্রকোপ। মহামারি নিয়ন্ত্রণে দেশে লকডাউন চলছে। তাই বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় হিসেবে বাংলাদেশকে দ্রুত করোনা প্রতিরোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা ছাড়া বিকল্প নেই। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দ্রুতই গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪৫ লাখ টিকা দেশে এসেছে। এখন গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে। তবে সংশ্লিষ্ট অনেকের মতে, গণটিকা কার্যক্রম শুরু হলে সরকারকে অবশ্যই টিকার রেজিস্ট্রেশনের ‘সুরক্ষা অ্যাপস’ নিবন্ধনকে সহজ করতে হবে। বর্তমানে টিকা নিবন্ধনের সুরক্ষা অ্যাপসকে নিম্নমানের উল্লেখ করেছেন তারা। কেউ কেউ বলেছেন, টিকা পাওয়া নাগরিকের অধিকার। তাই সহজেই যাতে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করার সুযোগ পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। সবাই যাতে অ্যাপসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে সে সুযোগ রাখতে হবে। বর্তমানে টিকার রেজিস্ট্রেশনের জন্য অ্যাপসে ঢুকলে অ্যাপস তা ধারণ করতে পারে না। পরবর্তীতে যখন সবার জন্য টিকার নিবন্ধন উম্মুক্ত করা হবে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ নিবন্ধন করবে তখন যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে নজড় দেয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি দ্রুত টিকার ব্যবস্থা করে করোনা প্রতিরোধ করতে হবে বরে উল্লেখ করেন তারা।
এদিকে বাংলাদেশে সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা হলে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকা। সম্প্রতি জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাদের কাছে তুলে ধরেছেন কেন বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় গন্তব্য বাংলাদেশ।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নানামুখী পদেক্ষেপে দীর্ঘদিন পর দেশের শেয়ারবাজার এখন বিনিয়োগের অন্যতম আস্থার নাম। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিদেশীদের কাছেও বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় নাম এখন বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বিএসইসি বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য দুবাইতে রোড-শো করেছে। সেখানকার বাংলাদেশী এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ কেন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ তা তুলে ধরেছে। খুব শিগিরই ইউরোপ প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে সুইজারল্যান্ড ও রাশিয়া এবং আগামী অক্টোবরে লন্ডনে রোড-শো আয়োজনের কথা রয়েছে।
দীর্ঘদিন পর দেশের শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক হওয়া বইছে। দেশের পোশাক শিল্পের অন্যতম বড় বাজার ইউরোপ-আমেরিকাসহ পশ্বিমা বিশ্ব। ওখানকার মানুষের জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে। মার্কেটসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। তাই গত কিছুদিন পোশাকের অর্ডারও ভালো। আরস তাই পশ্চিমা বিশ্বের মানুষের কাছে বিনিয়োগের অন্যতম আস্থার নাম এখন বাংলাদেশ।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ বলছে, গত বছরের মার্চ থেকে পরবর্তী কয়েক মাসে হাতছাড়া হয় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ক্রয়াদেশ। নতুন অর্থবছরের রফতানি আয় গত অর্থবছরের তুলনায় পিছিয়ে যেতে শুরু করে। তবে ওই বছরের শেষান্তে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সামলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পোশাক রফতানি উঠে দাঁড়ায়। বর্তমানে ইউরোপ-আমেরিকাসহ পশ্বিমা বিশ্বের মানুষের জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। মার্কেটসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। তাই গত কিছুদিন পোশাকের অর্ডারও ভালো।
করোনার মধ্যে রফতানির প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তৈরি পোশাকশিল্প উদ্যোক্তা এবং বিকেএমইএর পরিচালক ফজলে শামীম এহসান। তিনি বলেন, খারাপ সময়ের মধ্যে আমরা সামান্য হলেও ভালো করছি। এটা ইতিবাচক। সারাবিশ্বে পোশাকের চাহিদা বাড়ায় আমাদের তৈরি পোশাক তুলনামূলক ভালো করছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, নতুন কমিশনাররা বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। করপোরেট গভর্ন্যান্সে জোর দিয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং অর্থ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাজারের ওপর মানুষের আস্থা ফিরেছে। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ৮০ ভাগ স্থানীয় বিনিয়োগ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই বিদেশী বিনিয়োগ আসবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এতোদিন যে আস্থার যে ফাটল ছিল, তা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় যায়গা। বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে ইতোমধ্যে দুবাইতে রোড-শো করা হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার প্রবাসীদের বিনিয়োগ আকর্ষণে আরও কয়েকটি রোড-শো প্রক্রিয়াধীন। তবে দেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এ জন্য সরকারের লকডাউনের পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে হবে।
ওয়াল্ট ডিজনি বাংলাদেশে ফিরে এসেছে এটিকে দেশের পোশাকখাতের জন্য একটি সুসংবাদ হিসেবে মনে করেন বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসের পর ইমেজ ক্রাইসিস হয়েছিল, তখন তারা ফিরে গিয়েছিল। করোনার মধ্যেও সেখান থেকে আমরা আবার ঘুরে দাড়িয়েছে তার প্রমান ওয়াল্ট ডিজনি’র ফিরে আসা। এটা আন্তর্জাতিক একটি সীকৃতি। যা বিশ্বের যতগুলো দেশ পোশাক রফতানি করে তাদের জন্য রোল মডেল বাংলাদেশর পোশাক খাত। বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, পশ্বিমা বিশ্বের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। তাই গত কয়েকমাস পোশাকের অর্ডারও বেড়েছে তাই তিনি আশাবাদী আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পোশাকখাত আগের অবস্থায় ফিরবে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন মোহাম্মদ হাতেম।
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, করোনা সমস্যা নিয়েই এগুতে হবে। তবে পুরোদমে অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে করোনা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ করোনার কারণে আমরা বিদেশে যেতে পারছিনা। বিদেশিরা দেশে আসতে পারছেনা। বিনিয়োগে আগ্রহী ওইসব দেশে রোড-শো, সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করা দরকার যা সম্ভব হচ্ছে না। একই সঙ্গে মুজিব বর্ষে বিনিয়োগ সামিট করার কথা তাও করোনার কারণে হচ্ছে না। তারপরও চেষ্টা চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে সবকিছু এগিয়ে নেয়ার কাজ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অবশ্যই বিদেশি বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমাদের দেশিয় বিনিয়োগ ভালো আছে। এখন বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে। মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে জাপানের সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এ মাসেই সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আলোচনা রয়েছে। আগামী মাসে সাউথ চায়নার সঙ্গে স্টান্ড্যার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের একটি বড় বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এছাড়াও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।##



 

Show all comments
  • Rahat Islam ৪ জুলাই, ২০২১, ১:১৬ এএম says : 0
    পোশাক খাতকে আরও আরও গুরুত্ব দিতে হবে সরকারকে এবং সাধারন শ্রমিকের নিরাপতা নিচিত করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Islam Hossain ৪ জুলাই, ২০২১, ১:১৭ এএম says : 0
    পোষাক শিল্পের শ্রমিকরা সুখে আছে কি দুঃখে আছে কেউ কি বলতে পারে।মোটামটি তারা সুখে থাকলেও একটা বিষয়ে তারা খুব অসুখি।যেটা হচ্ছে তাদের প্রতি বছর পর পর যে বেতন বাড়ানো হয় সেটা নিয়ে।যেমন ধরেন কোন লোকের যদি বেতন হয় ৬০০০ হাজার টাকা তাহলে তার বেসিক হয় ২৮০০ বা ৩০০০ টাকা।সুতরাং সরকারি নিয়ম অনুযায়ি বেসিক হারে শতকরা ৫% বেতন বাড়বে।দেখা যাচ্ছে যে এক বছর চাকরি করার পর তার বেতন বাড়ছে ১৪০ টাকা বা ১৫০ টাকা।এটা কেমন।তাই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমি সকলকে অনুরোধ করছি।আমি মনে করি এটা আসলে ২৫ থেকে ৩০% হওয়া দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • AL Kamran Savar ৪ জুলাই, ২০২১, ১:১৮ এএম says : 0
    পোশাক শ্রমিকদের ও মালিকদের ভালো রাখতে চাইলে কাজের রেট বাড়াতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Rasel Ahmed ৪ জুলাই, ২০২১, ১:১৮ এএম says : 0
    মনেহয় না এগিয়েছে। বরং কয়েকপা পেছনে চলে গিয়েছে আমাদের পোশাক খাত।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Nazim Uddin ৪ জুলাই, ২০২১, ১:১৯ এএম says : 0
    বোয়িং থেকে শুরু করে সৌদি আরামকো সবাই লোকসানে আছে কিন্তু বাংলাদেশে পোশাক ব্যবসায়ীদের তুলনায় সেগুলো খুবই সামান্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Sohel Ahmad ৪ জুলাই, ২০২১, ১:২০ এএম says : 0
    এই শিল্পে করোনা সংকট দীর্ঘায়িত হলে সেটি বাংলাদেশের সমাজ এবং অর্থনীতির ভিত নাড়িয়ে দেবে বলে আমার মনে হয়। এব‍্যাপারে সরকার একটি সুদুরপ্রসারী কার্যকরী প্ল‍্যান তৈরী করে তার উপর কাজ করতে পারেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Robi Ullah ৪ জুলাই, ২০২১, ১:২০ এএম says : 0
    বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি রিস্কের মধ্যে আছে গার্মেন্টস কর্মীরা। সবাই যখন হুম কোয়ারেন্টাইনে তারা (গার্মেন্টস কর্মীরা) তখন কর্ম ক্ষেত্রে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nusrat Nupur ৪ জুলাই, ২০২১, ১:২১ এএম says : 0
    · বাংলাদেশের অর্থনীতি কর্ণধার হলো পোশাক শিল্প । এই গার্মেনন্টস শিল্প কে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারকে অনেক বেশি আন্তরিক হতে হবে । যে কোন মূল্যের বিনিময়ে এই শিল্প কে টিকিয়ে রাখতে হবে ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ৪ জুলাই, ২০২১, ৩:৪৭ এএম says : 0
    বর্তমানে লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের সন্ত্রাস করার জন্য আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী ......রা টেনিং দিতেছে সামনে মাত্র এক বসর বাকী একুশ শেষ বাইশ শেষ হলেই নির্বাচন,সেই নির্বাচনে এদের দিয়ে কাজ হবে,টিকা মাত্র একটি উচিলা ,যদি ছাত্র ছাত্রীদের ভালই চাইতেন,হাই স্কুলে পাঁচ ক্লাস,এক সাথে ক্লাস বসে,অবশ্যই পাঁচ ক্লাসের জন্য পাঁচ রুম আছে ,ইচ্ছা করলে এক ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের পাঁচ রুমে বসাইয়া ক্লাস করতে পারে ,সপ্তাহে এক দিন করেও যদি পাঁচ দিন করায়,একেক দিন একেক ক্লাস করে পাঁচ দিনে শেষ হবে,কিন্তু কাজের কাজ না করে মায়ের থেকে মাসির দরদ দেখাইতেছে,জনগণ কি করবে জনগণ খাঁচার মধ্যে আটকিয়াছে,জনগণের কথা চলবে না,এবং যুক্তি ও শুনবে না,তারা দলীয় ভাবে যাই করবে তাই হবে, .................
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ৪ জুলাই, ২০২১, ৪:১২ এএম says : 0
    বর্তমানে স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি বন্ধ রেখে,লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ে কে গার্মেনটসের রাস্তায় নিয়ে যাবার পলিসি করছে ,এবং লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের সন্ত্রাস করার জন্য আওয়ামী লীগ ................
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ