পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার উচ্চ সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ১ জুলাই থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের কারণে দেশের প্রায় ৩০ লাখ হোটেল শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এ অবস্থায় তাদের বকেয়া মজুরিসহ জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট মিষ্টি বেকারি শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এই আহবান জানিয়েছেন। তারা বলেন, কঠোর লকডাউনের কারণে বাংলাদেশের প্রায় সব হোটেল বন্ধ রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যখন মোটা চাল ৪৮/৫০ টাকা, ডাল ১০০/১১০ টাকা, তেল ১৫০ টাকা, আলু ২৫ টাকা তখন দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্দ্ধগতির এই সময়ে শ্রমজীবী জনগণ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দুবেলা দুমুঠো ডাল ভাত জোটাতে পারে না, সেরকম অবস্থায় খাবার ছাড়া এই মানুষদের ঘরে থাকার কথা বলা তাদের সাথে উপহাস ছাড়া আর কী হতে পারে! দেশের শ্রমিকদের নিয়ে গবেষণা করে এমন একটি সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে- গত বছরে কোভিডের কারণে হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় ১০ লাখ শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়েছেন।
তারা বলেন, আগে দেশের ১২শতাংশ লোক অতি দরিদ্র সীমা ও ২০ শতাংশ দরিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করত। সেই সংখ্যা বর্তমানে দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ৯৮ শতাংশ হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ৯০ শতাংশ পরিবহন ও নির্মাণ শ্রমিক, ৫৯ শতাংশ বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক, ৫৬ শতাংশ গার্মেন্টস শ্রমিক, ৩১ শতাংশ বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের শ্রমিক এবং সব খাতের ৭০ শতাংশ শ্রমিক কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।
তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ শ্রমিক জমানো টাকা ব্যয় করেছে, ৫৩ শতাংশ শ্রমিক ধার-দেনা, ৭ শতাংশ শ্রমিক সম্পদ বিক্রি করে, ২৯ শতাংশ শ্রমিক অর্ধাহারে, ১০ শতাংশ শ্রমিক মাঝেমধ্যে না খেয়ে এই মহামারি মোকাবিলা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।