পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ভারত-উৎপাদিত টিকা ব্যবহার ব্রিটিশদের বিদেশ ভ্রমণে বাধা হবে না বলে তিনি ‘অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী’।
আর জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ডাবল টিকা গ্রহিতাদের জন্য কোয়ারেন্টিনমুক্ত ভ্রমণের আশ্বাস দিয়েছেন। এই গ্রীষ্মে ছুটির দিনে ইউরোপ ভ্রমণে বা বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়ার আশায় ব্রিটিশদের আরো ভাল সংবাদ দেওয়া হয়েছে, এর আগে মিসেস মার্কেল যুক্তরাজ্য থেকে আগতদের উপর ইইউ বিধিনিষেধের বিষয়ে আরো কঠোরতা আরোপ করেছিলেন। এ সপ্তাহে জানা গিয়েছিল যে, জার্মান চ্যান্সেলর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে ব্রিটিশ ভ্রমণকারীদের ব্লক থেকে নিষিদ্ধ করতে উৎসাহ দেয়ার আশায় ছিলেন, তাদের ভ্যাকসিন রয়েছে কিনা তা নির্বিশেষে। বলা হয় যে, যুক্তরাজ্যে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার কারণে তিনি ব্রিটেনকে ‘উদ্বেগের দেশ’ হিসাবে অভিহিত করতে চেয়েছিলেন।
তবে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনের সাথে আলোচনার পরে মিসেস মার্কেল বলেন: ‘ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সাথে পরিচিত না থাকাবস্থায়ও আমরা কিছু প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ‘আমরা এখন দেখছি যে, জার্মানিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সতো ভাইরাস খুব দ্রুত বাড়ছে। আমরা আমাদের যাতায়াত বিধিনিষেধকে অবিচ্ছিন্নভাবে পর্যালোচনা করছি এবং আমরা মনে করি যে, অদূর ভবিষ্যতে যারা ডাবল জ্যাব পেয়েছেন তারা তখন কোয়ারান্টিনে না গিয়ে আবার ভ্রমণে সক্ষম হবেন’।
এদিকে চলতি গ্রীষ্মে কয়েক মিলিয়ন ব্রিটিশ বিদেশ সফর মিস করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী, কারণ তাদের করোনা জ্যাবগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক, ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) দ্বারা স্বীকৃত নয়।
জানা গেছে যে, ৫০ লাখ ব্রিটিশ ইইউর ভ্যাকসিন পাসপোর্ট স্কিমের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে না, কারণ তাদের প্রাপ্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকাগুলো ভারতে তৈরি করা হয়েছিল।
তবে মি. জনসন বলেছেন: ‘এমএইচআরএ অনুমোদিত ভ্যাকসিনগুলোকে ভ্যাকসিন পাসপোর্টের অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত হবে না এর কোনও কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি না। ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী যে, কোনো সমস্যা হিসাবে প্রমাণিত হবে না’।
ডাউনিং স্ট্রিট আগে বলেছিল যে, ভ্যাকসিন সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতি নিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের সাথে তারা কাজ করবে এবং জোর দিয়ে বলে যে, যুক্তরাজ্যে ব্যবহৃত সব অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ‘একই পণ্য এবং নিয়মিত পরীক্ষিত’।
দশ নম্বরের মুখপাত্রের মতে, যুক্তরাজ্যের মেডিসিনস এবং হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য ভ্যাকসিনগুলোর মূল্যায়ন ইএমএ-এর সাথে শেয়ার করেছে।
মুখপাত্র বলেছেন, ‘সেসব একই পণ্য যা আমাদের এমএইচআরএ’র সুরক্ষা এবং মানের জন্য অনুমোদিত এবং যাচাই করা হয়েছে’। ‘তারা তাদের পরিদর্শন রিপোর্ট ইএমএ’র সাথে শেয়ার করেছেন’।
প্রতিবেদন অনুসারে, কোভিশিল্ড নামে পরিচিত ভারত-উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ৫০ লাখ ডোজ যুক্তরাজ্যে পরিচালিত হয়েছে এবং ভ্যাকসিন ব্যাচের নম্বর ৪১২০ত০০১, ৪১২০ত০০২ এবং ৪১২০ত০০৩ দিয়ে শনাক্তযোগ্য।
তবে অস্ট্রিয়া, জার্মানি, সেøাভেনিয়া, গ্রীস, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, এস্তোনিয়া এবং সুইজারল্যান্ড - নয়টি ইউরোপীয় দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকা জাবের ভারতে তৈরি সংস্করণ গ্রহণ করতে প্রস্তুত বলে জানা গেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত ভ্যাকসিনগুলোর তালিকায় পৃথক সদস্য দেশগুলোর জাব দিয়ে টিকা দেয়া লোকেদের প্রবেশের অনুমতি দিতে পারে। মুখপাত্র যোগ করেছেন, ‘এটি কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যা ইইউ’র বাজারে রাখার জন্য অনুমোদিত নয়’।
ক্ষমতা থেকে পদত্যাগের আগে তার সর্বশেষ সফরকালে মিসেস মার্কেল ১৯৯৭ সালে বিল ক্লিনটনের পরে প্রথম বিদেশী নেতা হিসেবে মন্ত্রিপরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকেও বক্তব্য রাখেন। সূত্র : স্কাই নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।