পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720459729](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে শুরু হওয়া সাত দিনব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর অলিগলির সড়কে মানুষের চাপ সবচেয়ে লক্ষ্য করা গেছে। এচাড়া বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব সড়কে মানুষের চলাচল বেড়ে যায়। খোলা হয় দোকানপাটও। চায়ের দোকানে বসে আড্ডা। তবে মূল সড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল করলে মামলা ও গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সড়কে যানবাহন নিয়ে বের হওয়ায় ৮৮৫ মামলায় ১৯ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সরকার করোনার সংক্রমণরোধে চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে গতকাল তৃতীয় দিনে রাজধানী জুড়েই সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অকারণে ও নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হওয়ায় ৬২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৩৪৬ জনকে ১ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সড়কে যানবাহন নিয়ে বের হওয়ায় ৮৮৫ মামলায় ১৯ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মোট জরিমানার পরিমান ২০ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
এদিকে, রাজধানীতে র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীর টহলের সময় রাজধানীর অলিগলিতে দোকান বন্ধ করে যে যার ঘরে ঢুকে যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চলে গেলে ফের রাস্তায় নামে। এভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ‘ইঁদুর বেড়াল খেলা’ খেলে অলিগলিতে আড্ডা, বাজার ও ব্যক্তিগত কাজ করছে লোকজন। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মিরপুর-১১ নম্বরের নান্নু মার্কেটে অর্ধেক শাটার খুলে অনেকেই দোকান খোলা রাখেন। সড়কে চায়ের দোকানে ভিড় করে লোকজন গল্প করেন। এ এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দল এলে তারা ছোটাছুটি করে বিভিন্ন দোকানে ঢুকে আড়ালে চলে যান। কেউ বা অন্য সড়কে চলে যান। মিরপুর টোলারবাগ, মিরপুর-৬ নম্বর কাঁচাবাজার, প্রশিকা মোড়েও দেখা গেছে একই অবস্থা। সেনাবাহিনীর টহল দল চলে যাওয়ার পর আবারও তারা ফুটপাতে চায়ের দোকানে এসে দাঁড়ান। পুনরায় জিনিসের পসরা বসান ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। সেখানে অবস্থানরত ফজলে হাশেম নামে এক ব্যক্তির কাছে কেন রাস্তায় বেরিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন, ছেলের জন্য খাতা-কলম কিনতে বের হয়েছি। লাইব্রেরি বন্ধ থাকায় অনেক দূর গিয়ে কিনতে হলো।
এদিকে মিরপুর-৬ নম্বরে কাঁচাবাজারে দুপুর ১২টায় পুলিশের টহল গাড়ি আসে। তখন হুড়মুড় করে ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা সব কিছু গুছিয়ে চলে যান। পুলিশ চলে গেলেও আগের অবস্থায় ফিরে আসেন। আবেদিন নামে এক ব্যক্তি ভ্যানে আম বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, এভাবে পুলিশ আসে আর চলে যায়। কেউ কর্ণপাত করে না। সবাই পেটের জ্বালায় বের হয়।
মিরপুর-১০ নম্বরে শাহআলী মার্কেটের পেছনেও মানুষের জটলা দেখা যায়। প্রধান সড়কে মাস্ক পরে চলাচল করলেও অলিগলিতে মাস্ক পরার প্রতি উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে প্রধান সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া সড়কে প্রচুর মোটরসাইকেল ও রিকশা চলতে দেখা যায়। তবে চেকপোস্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। অহেতুক কেউ বের হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে সেনাবাহিনী ও ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় কর্তব্যরত ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা সুলতানা খান হীরামনি বলেন, বিভিন্ন অযুহাতে মানুষ বের হচ্ছে। তবে গতকাল চেকপোস্টে তিন জনকে আর্থিক জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি। এদিকে, বিধিনিষেধ না মানায় ৪০৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব। এমন তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।