পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইসিইউতেই মা হলেন করোনা আক্রান্ত ঝুমা আকতার (২৩)। তিনি গুরুতর অসুস্থ, প্রচন্ড শ্বাসকষ্টে ছিলেন কাহিল। ঘণ্টায় ৬০ লিটার করে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছিল। এ অবস্থায় তার প্রসব বেদনা শুরু। উদ্বেগ উৎকন্ঠায় চিকিৎসকসহ স্বজনেরা। অবশেষে কোন রকম জটিলতা ছাড়াই সন্তানের জন্ম দেন ঝুমা। এতে খুশি চিকিৎসক, নার্সসহ রোগীর স্বজনেরা।
বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের কোভিড আইসিইউ ওয়ার্ডে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ঝুমা জন্ম দেন তার প্রথম সন্তানের। নবজাতক মেয়ে শিশুর মুখ দেখে আনন্দে কেঁদেছেন ঝুমা আকতার ও তার স্বামী আবদুল মোতালেব।
মোতালেবের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। পিবিডির প্রকৌশলী স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে। স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন কয়েক দিন আগে। পাশাপাশি সন্তানের জন্মের দিনক্ষণও এগিয়ে আসছিল। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন তিনি। কোনো হাসপাতাল তাকে ভর্তি করাতে চায়নি। এ অবস্থায় মোতালেব মা ও শিশু হাসপাতালে যান। সেখানে ঝুমাকে ভর্তি করানো হয়। গত ২৮ জুন ভর্তির পর থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাহাদী হাসানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ঝুমা আক্তার। আইসিইউর চিকিৎসক ফাহিম রেজা, মাকসুদা হক, জ্যেষ্ঠ নার্স রূপনা বড়ুয়াসহ অন্যদের তত্ত্বাবধানে শিশুটি পৃথিবীর আলো দেখে কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ডেই। সেখানে লেবার কক্ষের অনেক যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছিল। নবজাতকের ওজন আড়াই কেজি। তাকে পাশের একটি কেবিনে রাখা হয়েছে। মায়ের বুকের দুধ সংগ্রহ করে নিয়ে শিশুটিকে দেওয়া হচ্ছে। এমন নবজাতকের করোনার ঝুঁকি কম বলেও জানান চিকিৎসকেরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।