রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বরগুনার পাথরঘাটায় মা সুমাইয়া আক্তার (১৮) ও তার শিশু কন্যা সামিরা আক্তার জুই (৯মাস)কে হত্যা করে ঘাতক স্বামী শাহিন (২২) পালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ঘটেছে পাথরঘাটার হাতেমপুর গ্রামে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টায় মা-মেয়ের মাটিচাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ওই গ্রামের খলিল মুন্সির ছেলে ঘাতক শাহিনের মা মোসা. কাহিনুর (৪৫), মামাতো ভাই ইমাম হোসেন (২৩)কে আটক করেছে। পাথরঘাটা থানার উপ-পরিদর্শক রাজেত আলী বলেন, হাতেমপুর গ্রামের শাহিন মুন্সী ও তার স্ত্রী সুমাইয়া এবং শিশু কন্যা জুই নিখোঁজের ঘটনাটি আমাদের সন্দেহ এবং রহস্যজনক মনে হলে আমরা গতরাত থেকে বিভিন্ন সোর্সে দিয়ে কাজ শুরু করি এবং শাহিনের বাড়ির পেছনের পরিত্যাক্ত জমি থেকে স্ত্রী সুমাইয়া ও তার শিশু কন্যা জুইয়ের মাটিচাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাজেত আলী জানান, পলাতক স্বামী ছাড়া ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্তের পরে বলা যাবে।
পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট দেখে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। গতকাল নিহত সুমাইয়ার বাবা রিপন বাদশা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। ৩দিন ধরে নিখোঁজ এবং মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নানী জাহানারা এবং দাদী জবেদাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এই হত্যার ঘটনাটির খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। লাশ পাথরঘাটা থানায় নিয়ে আসার পরেও প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় চোখে পড়ে। মা এবং মেয়েকে কেন হত্যা করা হলো তার প্রকৃত রহস্য জানা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।