পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাঁচ বছরে দেশে ৩০ হাজার ২৭২টি ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের হয়েছে। হাইকোর্টে দাখিলকৃত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। হাইকোর্টের এক নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেঞ্চটির সংশ্লিষ্ট ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল এম. চৌধুরী জানান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। দাখিলকৃত প্রতিবেদনে ২০২০ সালের ২১ অক্টোবরের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত তথ্য স্থাপন পেয়েছে। এছাড়া আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত বুধবার পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকেও একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। সেই সঙ্গে আগামী ১৫ জুলাই পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রেখেছেন আদালত। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দাখিলকৃত প্রতিবেদনে ধর্ষণের অভিযোগে গত পাঁচ বছরে ৩০ হাজার ২৭২টি মামলা আদালতে দায়ের হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ রোধে গৃহিত পদক্ষেপ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রে’র আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনে জেলাভিত্তিক বর্ণনা উল্লেখ রয়েছে। খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় ২০১৬ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ১ হাজার ৮০২টি ধর্ষণ মামলা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৯৭টি বিচারাধীন। ১৮৪টি মামলা তদন্তাধীন ও ৩৬টিতে চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও টাকার বিনিময়ে কোনো ধর্ষণ মামলার মীমাংসা হয়নি উল্লেখ করে পটুয়াখালী ও পিরোজপুর জেলার (২০১৫-১৯) মামলার পরিসংখ্যান রয়েছে প্রতিবেদনে। টাকার বিনিময়ে যাতে ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তি না করা হয়, আদালতের রায় ও নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়ার কথা বলা রয়েছে প্রতিবেদনে।
এছাড়াও আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরদারি অব্যাহত আছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ধর্ষণের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা, সালিস বা মীসাংসা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং ইতিপূর্বে এ বিষয়ে দেয়া তিনটি রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে গত বছরের ১৯ অক্টোবর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে একটি রিট করা হয়। শুনানি নিয়ে গত বছর ২১ অক্টোবর আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
ধর্ষণের ঘটনায় সালিস বা মীমাংসা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে সেদিন হাইকোর্ট ধর্ষণের ঘটনায় গত পাঁচ বছরে সারা দেশের থানা, আদালত ও ট্রাইব্যুনালে কতগুলো মামলা হয়েছে, তা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় দাখিল করা হয় উপরোক্ত প্রতিবেদন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।