পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশনস-১) সিজেন চেন। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় এ আশ্বাস দেন তিনি। করোনার ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলার জন্য খুব দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।
সভায় সিনিয়র অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ ছাড়াও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। এডিবি এ যাবৎ বাংলাদেশ সরকারকে ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। তিনি বলেন, এডিবি বাংলাদেশে করোনার প্রভাব থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা, ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পলিসি সাপোর্ট, কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিসট্যান্স শীর্ষক প্রকল্পে স্বাস্থ্য খাতে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা এবং করোনা মোকাবিলায় ৯ দশমিক ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া, ভ্যাকসিন কেনার জন্য ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এই মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে সব সময় এডিবি থাকবে বলে আশ্বাস দেন সংস্থাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশনস-১) সিজেন চেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি প্রধানত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ, সুশাসন, আর্থিক এবং বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেয়। অন্যদিকে, আজ নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে বাংলাদেশের সদস্য পদের বিষয়ে ব্যাংকটির প্রেসিডেন্ট মার্কোস ট্রয়ো অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করেন। এক দশকের বেশি সময় ধরে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, তা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে বৈদেশিক সহায়তার চাহিদাও বাড়ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে বাংলাদেশের সদস্য পদের বিষয়টি উভয়ের জন্য লাভজনক হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। উন্নয়নকে টেকসই করতে এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সভায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সিনিয়র অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মার্কোস ট্রয়ো বাংলাদেশের সা¤প্রতীক উন্নয়নকে ‘দুর্দান্ত’ আখ্যায়িত করে বাংলাদেশের উন্নয়ন-লক্ষ্য পূরণে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভের প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করার লক্ষ্যে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
সূত্র মতে, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত বহুজাতিক ব্যাংক। ব্যাংকটি ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে সহায়তা দিয়ে থাকে। ব্যাংকটির সদস্য পদ লাভ করলে বাংলাদেশের জন্য নতুন একটি সম্ভাবনাময় বৈদেশিক অর্থায়নের ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে। ৫ বছরের বেশি সময়ে ব্যাংকটি তার সদস্য দেশগুলোকে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।