পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপার এজেন্ট, মাস্টার এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট ইত্যাদি পদবি নিয়ে সাধারণ মানুষকে অনলাইন জুয়ার ওয়েবসাইটে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এরপর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ ই-ট্রানজেকশন করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এভাবে তারা ৩ কোটির বেশি টাকা মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত সুপার অ্যাডমিনের কাছে পাচার করেছেন। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত এই ট্রান্সন্যাশনাল চক্রকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
গতকাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের একটি চৌকশ দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইবার/অনলাইন জুয়ারি সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আবু নছর মোহাম্মদ আজিজউল্লাহ, মো. ফরহাদ রহমান ও মো. আজিম হিরা। গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ সাইবার/অনলাইন জুয়ারি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য।
এডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, চক্রটি নিজেদের পরিচয় গোপন করার জন্য খুব চাতুর্যের সঙ্গে বিদেশি নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ও ছদ্মনামে ফেসবুক ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জুয়া খেলায় প্রলুব্ধ করত। সিন্ডিকেটটির একটি বিশাল ও সুসংঘবদ্ধ নিজস্ব কর্মীবাহিনী রয়েছে। যারা ধাপে ধাপে সুপার এজেন্ট, মাস্টার এজেন্ট, লোকাল এজেন্ট ইত্যাদি পদবি নিয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অনলাইন জুয়ার একটি ওয়েবসাইটে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার প্রলোভন দেখায়। এরপর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ ই-ট্রানজেকশন করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, এই চক্র ৩ কোটির বেশি জুয়ার টাকা মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ওই ডোমেইনের সুপার অ্যাডমিনের কাছে প্রেরণ করেছে। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত এই ট্রান্সন্যাশনাল চক্রকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া এই চক্র কেবল বাংলাদেশি জুয়াড়িদের টার্গেট করে কয়েকটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল। সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনের এই বলেন, গ্রেফতার আবু নছর আজিজুল্লাহ একটি অনলিাইন জুয়ার ওয়েবাইটের বাংলাদেশি সুপার এজেন্ট হিসেবে তার অধীনস্থ মাস্টার এজেন্ট ফরহাদ রহমান ও লোকাল এজেন্ট আজিম হীরাসহ অন্যান্য মাস্টার এজেন্ট ও লোকাল এজেন্টদের কাছে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে জুয়ার পয়েন্ট বিক্রি করত।
তিনি আরও বলেন, অনলাইন জুয়ার কাজে ব্যবহৃত সব ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপসের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে এই অপরাধে ব্যবহৃত আটটি মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ ও নগদ আড়াই লাখ টাকাসহ বেশকিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। এই বিষয়ে ডিএমপির রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশনের এই কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।