পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ঢালাও দুর্নীতির অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ‘কোথায় করাপশন হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে। ঢালাও অ্যালিগেশন উইল নট বি এক্সসেপ্টটেড।’ গতকাল সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পাসকালে বিরোধী দলের সদস্যদের ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন তিনি।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। ছাটাই প্রস্তাবের আলোচনায় জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। এর জবাব দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি নিয়ে ঢালাও ভাবে বললে হবে না। ঢালাওভাবে করাপশনের কথা বললে তো হবে না। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে। মাস্কের কথা বলছেন- সেই মাস্ক কোনদিনই কেনা হয়নি। টাকাই দেয়া হয়নি। মাস্ক গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু মাস্কের কথা আসছে। হুইজ ইজ রং। ভালো করে খতিয়ে দেখে সঠিক কথাটি বলবেন বলেও উল্লেখ করেন জাহিদ মালেক।
আগামী মার্চের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় : ভ্যাকসিন সংগ্রহ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চলছে। আগামী ২/৩ তারিখের মধ্যে ২৫ লাখ মডার্না ভ্যাকসিন চলে আসবে। চীন ভ্যাকসিনও একই সময়ে চলে আসবে। কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ৩০ লাখ ভ্যাকসিন ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়া যাবে। সিনোফার্মার সাথে চীনা দেড় কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি হয়েছে। সব মিলিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এটা দিয়ে ৫ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হবে। জনসন এন্ড জনসনকে রিসেন্টলি অনুমতি দেয়া হয়েছে। সেখানকার ৭ কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে ৭ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারে (মার্চের মধ্যে) পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া যাবে।
এডিপি ১৫০ শতাংশ বাস্তবায়ন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের স্বাস্থ্য সেবার সব স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি করোনার চিকিৎসা চলছে। প্রায় এক কোটি লোককে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। করোনা টেস্ট প্রায় ৫০ লাখ মানুষের করা হয়েছে। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এক লাখ করোনার রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এসব কাজ বিনামূল্যেই করা হয়েছে। অক্সিজেন সেন্টার লাগানো হয়েছে ১০০টি। ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে ১০০টি। আরো অন্যান্য অতিরিক্ত কাজ হয়েছে। এ বছরের এডিপির ১২ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিল। ভ্যাকসিন বাদ দিলে এর ৮৫ শতাংশ অর্জন হবে। ভ্যাকসিনের ৮ হাজার কোটি টাকা ধরা হলে সেটা ১৫০ শতাংশ অর্জন হবে। এই হিসাবটা কেউ করছেন না।
জনশক্তি ঘাটতি, টেকনিশিয়ান নিয়োগ শিগগিরই
জনশক্তির ঘাটতি থাকার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এই করোনার মধ্যেও চিকিৎসক, নার্সসহ ২০ হাজার লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টেকনিশিয়ান নিয়োগ চলমান রয়েছে। এটা নিয়ে একটা জটিলতা হয়েছিল। অল্প দিনের মধ্যে এটা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। মামলার কারণে নিয়োগে কিছুটা সমস্যা হয় বলে তিনি জানান।
হাসপাতালের বেহাল অবস্থার দায় এমপিদেরও
সংসদ সদস্যদের সমালোচনার অভিযোগের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব এমপিরা তো হাসপাতালের চেয়ারম্যান। উন্নয়ন কমিটির সঙ্গে এমপিরা জড়িত। প্রত্যেকে দায়িত্বে আছেন। এই বিষয়গুলো এমপিদেরই দেখার কথা। মেশিন চলে না। লোক লাগবে। এগুলো তো এমপিদেরকে দেখতে হবে। কিন্তু আপনারা তো সেটা দেখেন না। নার্স, ডাক্তার বা যন্ত্রপাতি লাগলে তো আপনাদেরকে বলতে হবে। শুধু অভিযোগ দিলে তো হবে না। যা যা প্রয়োজন আছে তার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু চেয়ারম্যান হিসেবে এগুলো দেখার দায়িত্ব আপনাদের ওপর বর্তায়।
দেশে চিকিৎসা নিয়েই তো ভালো আছেন
সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব লকডাউন কেউ তো বাইরে (দেশের বাইরে) যেতে পারননি। সেবা কোথায় নিচ্ছেন? সব বাংলাদেশের হাসপাতালেই সেবা নিচ্ছেন। যেতে তো পারছেন না কোথাও। হাসপাতাল সেই সেবা দিতে পারে বিধায় আপনারা সেবা নিচ্ছেন। ভালো আছেন।
জাহিদ মালেক মন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবার সব স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি করোনার চিকিৎসা চলছে। প্রায় এক কোটি লোককে আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি। সেখানে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। কোভিড-১ টেস্ট প্রায় ৫০ লাখ মানুষের করেছি। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এক লাখ করোনার রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। সেখানে দুই হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এসব কাজ আমরা করেছি বিনামূল্যেই। অক্সিজেন সেন্টার হয়েছে ১০০টি, ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে ১০০টি। আরও অন্যান্য অতিরিক্ত কাজ হয়েছে। এ বছরে এডিপির ১২ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিল। ভ্যাকসিন বাদ দিলে এর ৮৫ শতাংশ অর্জন হবে। ভ্যাকসিনের ৮ হাজার কোটি টাকা ধরা হলে, সেটা ১৫০ শতাংশ আমাদের অর্জন। এই হিসাবটা আমরা করি না।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।