Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একদিনে শনাক্ত ৮৮২২ শনাক্ত, মৃত্যু ১১৫

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২১, ১১:৪৫ পিএম

বিশ্বের অনেক দেশে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ হলেও বাংলাদেশে এ ভাইরাকে আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮২২ জন। যা কি-না দেশে মহামারিকালে একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে গত ২৮ জুন ৮ হাজার ৩৬৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া ৮ হাজার ৮২২ জন নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্ত হলেন ৯ লাখ ১৩ হাজার ২৫৮ জন। গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে মারা গেছেন ১১৫ জন। তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনায় মারা গেলেন ১৪ হাজার ৫০৩ জন। এতে দেখা যায় দেশে করোনায় মৃত্যু সাড়ে ১৪ হাজার ছাড়ালো। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৫ জনকে নিয়ে গতকাল দেশে টানা চতুর্থ দিনের মতো একদিনে মৃত্যু একশ’র ওপরে ছিল। ২৯ জুন মারা যান ১১২ জন। এর আগে গত ২৭ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৮ জুন মারা যান ১০৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১৩ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫০ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন মোট ৮ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার ৩৭ হাজার ৮৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে; তবে পরীক্ষা হয়েছে ৩৫ হাজার ১০৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৯২৭টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫২টি।

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন আর নারী ৪৩ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন ১০ হাজার ৩২৫ জন আর নারী মারা গেলেন ৪ হাজার ১৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৫৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সি ২৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সি ১৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সি ১২ জন আর ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সি মারা গেছেন ৪ জন। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৭ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন করে, খুলনা বিভাগে ৩০ জন, বরিশাল বিভাগের ২ জন, সিলেট বিভাগের ৩ জন, রংপুর বিভাগের ১১ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ৬ জন।

সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৮৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৯ জন। বাড়িতে মারা গেছেন ৯ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে বছর শেষে করোনা সংক্রমণ করতে থাকে। কিন্তু ২০২১ সালের মার্চ মাসে হঠাৎ করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। অতপর করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা সীমান্ত জেলাগুলোতে দেখা দেয়। সেই ভ্যারিয়েন্ট এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ