পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা প্রতিদিন কোন কোন জেলায় একদিনে মৃত্যু কিংবা শনাক্তের নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে একদিনে রেকর্ড ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া খুলনায় ১২, চুয়াডাঙ্গায় ৯, ঝিনাইদহে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, বাগেরহাটে সংক্রমণের হার ৫১ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও নোয়াখালীতে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রমণ শনাক্তের হার ২৪ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। আগের দিন সোমবার আক্রান্তের হার ছিল ২৭ শতাংশ। ওইদিন মারা গেছেন সাত জন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনার পৃথক ৩ টি হাসপাতালে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) সকাল ৮ টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল ৮ টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল তিনটির করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১৩০ শয্যার এই করোনা হাসপাতালে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৮৩ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে নতুন করে আরও ১৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৫২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে রেকর্ড ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টার মধ্যে মারা যাওয়াদের মধ্যে নয়জনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকি ১৬ জন মারা যান উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর ১২ জন, চাঁপাইনবাগঞ্জের পাঁচজন, নাটোরের পাঁচজন, নওগাঁর দুইজন ও চুয়াডাঙ্গার একজন। এদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও ১০ মহিলা নারী।
নতুন মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের তিনজন এবং ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের দুইজন। এ নিয়ে চলতি মাসে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৯ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ৩৪০ জন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৩ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্তের ফলে এ অঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১৮ জনে। শনাক্তের হার প্রায় ২৫ শতাংশ। বরিশাল মহানগরীতে ৪০ জনসহ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭ জন। এছাড়া পিরাজপুরে ৬৭, ঝালকাঠিতে ১৮, পটুয়াখালীতে ২০, বরগুনায় ১৫ ও ভোলাতেও ১০ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদিকে,গত ২৪ ঘণ্টায় আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী ও বরগুনার তালতলীতে এসময়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনেরই বয়স ৮০ বছর করে।
বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ ও আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় করোনায় আরও ১১৬জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ৫১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যা গত ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও ৯৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে করোনা আক্রান্তে মারা যাওয়া ৪ জন হচ্ছেন দামুড়হুদা উপজেলা শহরের মিরাজুল ইসলামের ছেলে আববর আলী (৪৪) ও একই উপজেলা শহরের মাদ্রাসাপাড়ার আজহার আলীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৬৫), আলমডাঙ্গা উপজেলার চকহারদী গ্রামের শওকত মন্ডলের ছেলে ফকির মোহাম্মদ (৮০) ও জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মরহুম মহিউদ্দিনের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন (৭০)।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাইদহে করোনায় ৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন মারা গেছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ১৮৬ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। নমুনা পরিক্ষার নিরিখে আক্রান্তের সংখ্যা শতকরা ২৫.২৬ ভাগ।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, শেরপুরে গত দু’দিনে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৮ জন। এর মধ্যে জুন মাসেই ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে শহরের খরমপুর ও নকলা উপজেলায় মারা গেছেন ২ জন। এদিকে শেরপুর জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৩ জন। তাদের মধ্যে ৮৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
ঈশ্বরদী (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঈশ্বরদী উপজেলায় নতুন করে আরো ৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই ঈশ্বরদীর বহিরাগত এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।