Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চট্টগ্রামে এক লাখ টন বিটুমিনের চালান আটক

জাল সনদে খালাসের চেষ্টা

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম


ভুয়া মান সনদ জমা দিয়ে খালাসকালে আমদানিকৃত এক লাখ মেট্রিক টন বিটুমিনের একটি চালান আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মোট ৫০ কন্টেইনার চালানের মধ্যে খালাস করে নেয়া নয় কন্টেইনার বিটুমিন গতকাল মঙ্গলবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হ্উাসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা ইনকিলাবকে বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এক লাখ টন বিটুমিনের চালান ছাড়ের জন্য ভুয়া মান সনদ তৈরি করে চট্টগ্রাম কাস্টমসে জমা দেয়। ৭২ লাখ টাকার শুল্ক পরিশোধ করে ৫০ কন্টেইনারের মধ্যে নয় কন্টেইনার বিটুমিন সোমবার ছাড় করে নিয়েছে। তবে জালিয়াতি ধরা পড়ায় পুরো চালানটি আটক করা হয়। চালানটি চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার সিসিটিসিএল নামে একটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে রাখা হয়েছে। নয় কন্টেইনারে থাকা বিটুমিন ড্রামে ভরে ২০টি ট্রাক যোগে সেখান থেকে ছাড় করে নেয়া হয়। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭টি ট্রাক ওই ডিপোতে পৌঁছে। বাকি তিনটি চট্টগ্রামের পথে আছে বলেও জানান কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা।
আমদানিকৃত বিটুমিনের চালান খালাসের আগে তার মান যাচাই করতে হয়। ইস্টার্ন রিফাইনারি, বুয়েট অথবা বিএসটিআই মান যাচাই করে সনদ দেয়। ওই সনদ পাওয়ার পরই বিটুমিন খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে ১৪ জুন। চালানটির মূল্য ৪ লাখ ১৭ হাজার মার্কিন ডলার। গত ২০ জুন বিটুমিনের চালানটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনাটি পাঠানো হয় ইস্টার্ন রিফাইনারিতে (ইআরএল)। ইআরএল গত ২৪ জুন পণ্যের মান সনদ দেয়।
সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্টান ইস্টার্ন রিফাইনারির দেয়া মান সনদ সূ²ভাবে জালিয়াতি করেছে। জালিয়াতি ধরা পড়ার সাথে সাথে চালানটি আটক করা হয়। ছাড় করে নেওয়া বিটুমিন ফিরিয়ে আনা হয়। ইস্টার্ন রিফাইনারী থেকেও সনদ জাল করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চালানটির মান পরীক্ষা করা হয় আটটি শ্রেণিতে। কিন্তু দুটি শ্রেণিতে চালানটির মান উত্তীর্ণ হয়নি। মান উত্তীর্ণ না হওয়ায় চালানটি বন্দর থেকে ছাড় করার কোনো সুযোগ ছিল না। এই কারণে ইস্টার্ন রিফাইনারির মূল সনদ কাস্টমসে জমা না দিয়ে জালিয়াতি করে ভুয়া সনদ দিয়ে পণ্য বের করার চেষ্টা করে আমদানিকারক ও তাদের সিঅ্যান্ডএফ চট্টগ্রামের সান শাইন এজেন্সি। যদিও উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ