বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভোলা জেলা সংবাদদাতা : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার উত্তর শিবা গ্রামে এক কৃষকের বাড়িতে রহস্যময় আগুনের ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে পুরো গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে এ বাড়িতে অন্তত শতাধিক বার আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
আগুনের কারণ খুঁজতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাড়িটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন শত শত মানুষ। কিন্তু কেন এ আগুনের সূত্রপাত তা কেউ বলতে পারছেন না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশ বাড়িটি পরিদর্শন করেও আগুন লাগার কারণ উদঘাটন করতে পারেনি। সর্বশেষ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরজমিন ঘুরে আজ জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের মায়ারধন নদীর শাখা খালের পাশে উত্তর শিবা গ্রামে মোস্তফা বেপারির বাড়ি। ১৫ বছর আগে জমি কিনে এখানে বসবাস শুরু করেন মোস্তফা বেপারি। বর্তমানে পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে মোস্তফা বেপারির পরিবার। ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছেন। সবারই বিয়ে হয়েছে। তাই বড় সংসারের বাড়তি লোকের চাপ সামলাতে ওই বাড়ির উত্তর ভিটায় এক বছর আগে নতুন করে আরো একটি টিনের ঘর তোলা হয়। তারপর থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
পরিবারের প্রধান মোস্তফা বেপারি জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে আকস্মিকভাবে (অলৌকিক) আগুন লাগার ঘটনা ঘটেই চলেছে তার বাড়িতে। হঠাৎ করেই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় এই আগুন লাগে। এর পর দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।
গত কয়েক দিনে নতুন ও পুরনো দুটি ঘরের চালা, বেড়া, লেপ-কাঁথা, হাঁড়ি-পাতিল, জামা-কাপড় সবকিছুতেই হঠাৎ করেই আগুন জ্বলে উঠছে। এমনকি পুকুরের পানিতে ভিজিয়ে রাখা জামা-কাপড়-কাঁথায়ও আগুন জ্বলে ওঠছে বলে জানান পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় হাসমত আলী জানান, আগুনের কারণে বর্তমানে পরিবারটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আগুন জ্বলে ওঠে কিছুতে ধরে আবার কতক্ষণ পর নিভে যায়। এভাবে দিনের মধ্যে ৪-৫ বার আগুন ধরে ও নিভে।
এ থেকে পরিত্রাণের জন্য ওঁঝা, খানকা থেকে দোয়া, তাবিজ নিলেও কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। ইতিমধ্যে মোস্তফা বেপারির বাড়িটিকে কেউ ‘অভিশপ্ত বাড়ি’ আবার কেউবা ‘আগুনবাড়ি’ বলে আখ্যায়িত করছেন। বর্তমানে মোস্তফা বেপারি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল জানান, পরিবারটিকে আর্থিকভাবে সহযোগিতাসহ নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে জানিয়েছি।
চরফ্যাশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারটিকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম বলেন, এ ঘটনার পর আমি ওই এলাকায় পরিদর্শন শেষে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করেছি। সমস্যা বেশি হলে ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের টিম আনা হবে। এছাড়াও ওই পরিবারটিকে আমরা বিভিন্ন সহযোগিতা করেছি। মানসিকভাবে যাতে না ভেঙে পড়ে এজন্য তাদের ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সাহস জুগিয়ে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।