দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৩৮৮ জনের। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৬৬ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪ হাজার ৪৩৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ২৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ১১ হাজার ৭০০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৬৫টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৮২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩২ হাজার ৬৫৯টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ হাজার ৯৮২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২২টি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১১২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে ১০ জন, বরিশাল বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে একজন, ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন রয়েছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৬১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুইজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩ হাজার ৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৯৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৭৮ হাজার ৪৫২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩৪ হাজার ৪৮৩ জন।
এর আগে গত ২৮ জুন দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় ৮ হাজার ৩৬৪ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। পরে আক্রান্ত কমে গেলেও করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার বিস্তার ঘটায় দেশে দ্বিতী দফায় করোনা ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। ##