রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজলার যাত্রাপুর ইছামতি নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে পূর্বখললিপুর, ষষ্ট্রি, যাত্রাপুর, ইজতিয়াসহ ৮টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগী এলাকার মানুষের দাবি যাত্রাপুর ইছামতি নদীর ওপর দ্রুত একটি সেতু করা হোক।
যাত্রাপুর গ্রামের ৬০ বছর বয়সী জামাল উদ্দনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও যাত্রাপুরের ইছামতি নদীর ওপর নির্মাণ হয়নি একটি সেতুু। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা খেয়া নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হতাম। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। ৭/৮ বছর আগে এই নদীর ওপর সরকারিভাবে আরসিসি পিলার দিয়ে একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেন। সেটিও ২/৩ বছর যেতে না যেতেই নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে এলাকাবাসী মিলে ওই পিলারের উপর বাঁশের সাঁকা নির্মাণ করে কোনো রকমের যাতায়াত করছি। তিনি বলেন, নদীর উত্তর পাশে রয়েছে বিশাল আবাদি জমি। আমাদের এ জমির আবাদকৃত ফসল ভাঙা সাঁকো দিয়ে আনতে অনেক কষ্ট করতে হয়। আমাদের এ দুর্ভোগ কেউ দেখে না।
সরজমিনে দেখা গেছে, হরিরামপুর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকায় ইছামতি নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় রয়েছে। সংস্কারের অভাবে যাতায়াতের ক্ষেত্রে জনসাধারনের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। জানা যায়, প্রায় সাত বছর আগে নদীটির ওপর নয় লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি করে কাঠ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দুই বছর না যেতেই সাকোটির কাঠের চালি নষ্ট হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী কাঠের পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে কোনো রকম জুড়াতালি দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, মানিকগঞ্জ জেলা শহরসহ হরিরামপুর উপজেলার সাথে চালা ও বয়রা ইউনিয়নবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন দুই শতাধিক স্কুল শিক্ষার্থী, দুটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে। জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে জনগুরুত্বপুর্ণ স্থানটিতে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসী। হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই সাঁকোটি পাকা করে দিন। এ রকম আবেদন-নিবেদন তিন যুগ যুগ ধরে এমপি, মন্ত্রী ও প্রশাসনের উচ্চ পদের কর্মকর্তাদের কাছে করা হয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি। এর কোনো ফলাফল হয়নি। এ কথাগুলো বলেছেন খলিলপুর গ্রামের মো. সজিব হোসেন। বয়ড়া ইউপি চেয়রম্যান জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, কাঠের সাঁকোর পরিবর্তে পাকা ব্রিজের জন্য একটি প্রকল্প দিয়ে ছিলাম। কিন্ত বড় কাজ বলে এটা ইউনিয়ন পরিষদের ইখতিয়ার বহির্ভূত। তাই সম্ভব হয়নি। হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সায়েদুর রহমান বলেন, যাত্রাপুর ইছামতি নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি খুবই গুরত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় খুব শিগগিরই উপস্থাপন করার আশ^াস দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।