রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঢাকার ধামরাইয়ে মিল কারখানার বৈদ্যুতিক বাণিজ্যিক মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। চোরেরা থ্রি ফেইজ মিটার চুরি করে গ্রাহকদের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। গত এক মাসে শতাধিক বৈদ্যুতিক মিটার চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মিটার চুরির বিষয়টি উপজেলা জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাইসমিল/কারখানার থ্রি ফেইজের শিল্প ও বাণিজ্যিক মিটার, ট্রান্সমিটার চোরেরা মিটার চুরি করে মিটারের বোর্ডের কাছে কাগজে মোবাইল নাম্বর লিখে দিয়ে আসছে। ওই মোবাইলে কল দিলে মিটার পাওয়া যাবে বলে লিখে আসে। এ ঘটনায় চলতি মাসে থানায় কয়েকটি জিডি করা হয়েছে। তবে পুলিশের তৎপরতা না থাকায় চোরেরা প্রতি রাতেই মিটার চুরি করছে।
কুশুরা ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল মান্নান বলেন, রাইস মিলের মিটারটি রাতে চুরি হয়। এসময় চোরেরা মিটারের কাছে কাগজে মোবাইল নাম্বর দিয়ে যায়। ওই নম্বরে কল দিলে বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। পরে প্রথমে ৬ হাজার, দ্বিতীয় বার ২ হাজার টাকা পাঠাই। টাকা পাঠানোর পরে বলে দিয়েছে মিটারটি কিছু দূরে একটি খুঁটিতে বাধা আছে।
একই কথা জানালেন বালিয়া ইউনিয়নের বনেরচর গ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সুলতান হোসেন ও কুশুরা ইউনিয়নের শাসন গ্রামের আনোয়ার হোসেন। আবার অনেকে চোরদের দেয়া বিকাশ নাম্বারে টাকা না পাঠিয়ে থানায় জিডি করে, বিদ্যুৎ অফিস থেকে অর্ধেক মূল্যে নতুন মিটার নিয়েছে।
এ ব্যাপারে ধামরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম খালিদ মো. সালাহ উদ্দিন জোয়ারদার বলেন, অনেক গ্রাহকের মিটার চুরি হয়েছে। মিটার চুরি বন্ধে এলাকায় মাইকিং করেছি, থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
কুশুরা জোনাল অফিসের ডিজিএম একে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, এলাকায় মিটার চুরি একটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত ২৬টি ট্রান্সফরমার ও ১৩টি মিটার চুরি হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এভাবে প্রতারণা চক্র মিটার খোলে নিয়ে ধামরাই থেকে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে কিছু কারখানার সিসি ক্যামেরায় চোরের চেহারা ধরা পড়েছে বলে জানা গেছে।
আরো জানা গেছে, চুরি হওয়া মিটার না নিয়ে নতুন করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে মিটার নিলে সে মিটারও চুরি হয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। আর চোরের দেয়া নাম্বরে টাকা দিলে চুরি হওয়া মিটার আশপাশে পাওয়া যায়। আর চুরি হয় না। গ্রাহকদের এমনি অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ২/৩ জিডি হয়েছে। চোরের রেখে যাওয়া মোবাইল নম্বর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুসন্ধান চলছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।