Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেছারাবাদে ইউপি নির্বাচনে চার বিদ্রোহীর বিজয়ের কারণ

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ৪:৪৮ পিএম

নেছারাবাদে১০টি ইউপির নির্বাচনে চারটিতে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়লাভ করার পিছনে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে বিএনপি জামায়াতের ভোট। এমন মন্তব্য করেছেন পরাজিত প্রার্থীর অনুসারি একাধিক আওয়ামীলীগ কর্মীরা। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরাসহ প্রার্থীর দলীয় প্রতিপক্ষদের ওপর ভর করে বিএনপি জামায়াত ক্যাডাররাও বিদ্রোহীদের পক্ষে মারমুখী ভুমিকায় নির্বাচনে অংশ নেয়। বিজয়ী হওয়া ছয়টি ইউপিতেও আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিদ্রোহী প্রার্থীরা। যে কারনে প্রতিটি ইউনিয়নে কাছাকাছি ভোটের ব্যবধানে জয় পরাজয় নিশ্চিত হয়। আওয়ামীলীগের আন্তঃ কোন্দলের সুযোগ নিয়ে বেশ ক“টি ইউপিতে সংঘাত সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেয় বিএনপির চিহ্নিত ক্যাডাররা। যারমধ্য ঘুয়ারেখা,সারেংকাঠি ও আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন উল্লেখযোগ্য। তবে, বিজয়ি নৌকার বিদ্রোহী আওয়ামীমনা নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান অনুসারিরা দাবি করে বলেন, পরাজিতরা ক্ষমতা পেয়ে ইউনিয়নের উন্নয়নের কথা যেন তারা ভুলেই গিয়ে ছিলেন। তাছাড়া তারা কখনোই ইউনিয়নের সাধারন মানুষদের পাত্তাই দেন যে কারনে নির্বাচনে তাদের ভরা ডুবি হয়েছে।

গুয়ারেখা ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম টাবুল তাদের দলবল নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আঃ রব সিকদারের পক্ষে নির্বাচন করেন। টাবুল মুসলমান চেয়ারম্যান বানানোর শ্লোগান নিয়ে সাম্প্রদায়িক ইস্যু তুলে অনেকটা সফল হয়েছে। গুয়ারেখা ইউনিয়নে ভোটের আগের রাতে সংখ্যালঘু ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীকে ভোট না দিলে কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করার অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম টাবুল।

ওই ইউপির চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার ঠাকুর অভিযোগ করেন, ভোটের দিন কালিবাড়ি,দেবীদাসকাঠি ও ব্যাসকাঠি কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। বার বার বলার পরেও প্রশাসনের কাছ থেকে তারা তেমন কোনো প্রতিকার পায়নি বলে ভীতসন্ত্রস্ত অনেকে ভোটদানে বিরত ছিল। গুয়ারেখায় বিদ্রোহী প্রার্থী আঃ রব সিকার ও দৈহারী ইউপিতে জাহারুল ইসলাম এর বিজয়ের পড়ে বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস দেখা যায়।

এ ব্যপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম মুইদুল ইসালম বলেন, গেল উপজেলা নির্বাচনে যারাই নৌকার বিপক্ষে কাজ করে দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারাই ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। এছাড়া দলের ভিতরে আন্ত:কোন্দলের কারনও উল্লেখযোগ্য একটা বিষয়।

এদিকে নৌকা প্রতিক পাওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের বর্তমান চার চেয়ারম্যান পরাজয় বরণ করেছেন। এরা হলেন আটঘর কুড়িয়ানার শেখর কুমার সিকদার,জলাবাড়ির আশিষ কুমার বড়াল,দৈহারীর প্রগতি মন্ডল ও গুয়ারেখা ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার ঠাকুর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ