বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আলু উৎপাদনে প্রসিদ্ধ জয়পুরহাট জেলায় হাট বাজারে আলুর দাম অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় কৃষক, ব্যবসায়ীরা ও হিমাগার মালিকরা। এক দিকে আলুর বাজারে ধস অন্যদিকে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশে আলু রপ্তানি নেমেছে শূন্যের কোঠায়। সরকার বিদেশে আলু রপ্তানির তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে পথে বসবে প্রান্তিক কৃষক, আলু ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা।
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আলু রপ্তানি কারক বেসরকারী প্রতিষ্ঠান "সূচি এন্টারপ্রাইজের" স্বত্বাধিকারী মোঃ সুজাউল ইসলাম বলেন, গত ৯বছর যাবত আমি বহির্বিশ্বে ৮টি দেশ মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল রাশিয়া ও দুবাইয়ে আলু রপ্তানি করে আসছি। সম্প্রতি করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় তারা আলু নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। বর্তমানে এ শিল্পে জড়িত বহু শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
জেলায় এবার ৪১হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৬০হাজার মেট্রিক টন। আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট। এ জেলায় ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল, রোজেটা ও দেশি জাতের আলু বিভিন্ন হিমাগারে সংরক্ষণ করেছে। জেলার ১৫ টি কোল্ড ষ্টোরেজে প্রায় ১লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। গত বছরের জুন মাসে হিমাগারগুলো থেকে আলু বের হয়েছিল ২৫থেকে ৩০ শতাংশ। দাম ছিল ওই সময় ১২শ থেকে ১৩শ টাকা বস্তা। এ বছর একই সময়ে আলু ষ্টোরগুলো থেকে বের হয়েছে ৪/৫ শতাংশেরও নিচে। আলুর বর্তমান বাজার দর নেমেছে বস্তা প্রতি ৮৫০ থেকে ৯০০শ টাকায়।
হিমাগার মালিক ব্যবসায়ী এবং কৃষকরা বলেন এ বছর আলুতে বাম্পার ফলন হাওয়ায়। অনেক কৃষক বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করেছেশ। এ অবস্থায় সরকার আলু রপ্তানিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে লোকসানের মুখে পড়বে তারা। তাছাড়া কৃষক কিছু আলু ষ্টোরে রাখে সার ও বীজ কেনার জন্য। সেই আলুর দাম যদি কমে যায় তাহলে সার, বীজ ও কীটনাশক কিনতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে কৃষককে। সালামিন ফুডস লিঃ ব্যবস্থাপনা পরিচাল রতন কুমার বলেন , উৎপাদিত আলুর দামের তুলনায় বাজার নিম্নমুখী হলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আলু উত্তোলন ও বিক্রি না করে হিমাগারে ফেলে যাবে ওই সব আলু আমরা নিজেরা বিক্রি করেও হিমাগারের খরচ তুলতে পারব না। ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এ অবস্থায় সরকারের এখনই তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স ম মেফতাহুল বারি বলেন জেলায় লক্ষ্যমাত্রার অধিক পরিমাণ আলু চাষ হয়েছে। অধিকাংশ কৃষকরাই স্থানীয় হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণ করেছে। আলুতে যদি কৃষক দাম না পায় তাহলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং আগামী মৌসুমে আলু চাষ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।