Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের নতুন রেকর্ড

দেশে করোনাভাইরাস

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে শনাক্তের সংখ্যার নতুন রেকর্ড হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৩৬৪ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ একদিনে সর্বোচ্চ। এ সময় আরো ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা আগের দিন ছিল একদিনে সর্বোচ্চ ১১৯। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে খুলনা বিভাগে। এ বিভাগে গতকাল ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের মধ্যে ২৭ জন ঢাকা, ১৯ জন চট্টগ্রাম, রাজশাহী ৭, বরিশাল ২, নয় জন রংপুরের ও পাঁচজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। সরকারের দেয়া করোনাবিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর আগে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে ১১২ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়। সর্বোচ্চ মৃত্যুর এ রেকর্ড ভেঙে দিয়ে গত রোববার ১১৯ জনের মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৪ হাজারছ২৭৬ জন। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭০ জন, এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সারা দেশে ৫৬৪টি পরীক্ষাগারে ৩৫ হাজার ৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১০৪ জনের মধ্যে ৫৮ জন ষাটোর্ধ্ব ছিলেন। বাকিদের মধ্যে ২৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১৪ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের মধ্যে ৬৮ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী। মৃতদের ৮২ জন সরকারি, ১৫ জন বেসরকারি হাসপাতালে ও ৭ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

চলতি বছর দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ শুরুর পর গত ৫ এপ্রিল সাতদিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরে কয়েক দফায় এর সময় বাড়ানো হয়। এর পরও দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় গতকাল থেকে আবারো নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করছে সরকার। গত ঈদুল ফিতরের পর ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। ৮ মে দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়। ধরনটি চলতি মাসের শুরুতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ( গোষ্ঠীগত সংক্রমণ) ঘটায়। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ জেলা করোনার ভয়াবহতার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে গত ১৪ থেকে ২০ জুন নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪০টি সংক্রমণের অতি উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ