Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন হাইকোর্ট

বরখাস্ত ডিআইজি (প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের অস্বাভাবিক জামিন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

বরখাস্ত ডিআইজি (প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিককে কেন অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জামিন দেয়া হয়েছে? এ প্রশ্নের ব্যাখ্যা বিচারক ইকবাল হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারককে ৭ দিনের মধ্যে ব্যখ্যা দাখিল করতে হবে।
গতকাল সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই ব্যাখ্যা চান। একইসঙ্গে পার্থ গোপাল বণিকের অস্বাভাবিক ভাবে জামিন দেয়ার বিষয় নিয়ে চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত প্রতিবেদনের ভিডিও ক্লিপ আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ইকবাল হোসেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন মামলায় গত ১৯ জুন পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেন ইকবাল হোসেন। ৮০ লাখ টাকাসহ হাতে নাতে গ্রেফতার পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে মামলা করে দুদক।
হাইকোর্ট তার আদেশে বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিকের জামিন স্থগিত আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। বিচারিক আদালতের জামিন আদেশ স্থগিত ও বাতিল চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলো দুদক। সংস্থার পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও এডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন।
১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর হয়েছিলো বণিকের। জামিন মঞ্জুরের পরদিনই অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে তার কারমুক্তি ঘটে। অনেকটা গোপনেই এই জামিন এবং কারামুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। গত বছরের ৪ নভেম্বর পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। বিচারের এ পর্যায়ে জামিন লাভের বিষয়টি ‘অস্বাভাবিক’ হিসেবে মন্তব্য করেন আইনজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিক চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারগারে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তখন তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৮০ লাখ টাকা অর্জন করেন। সেই টাকা পার্থ গোপাল বণিক তার নিজ বাসার ক্যাবিনেটে লুকিয়ে রাখেন। অনুসন্ধানকালে অভিযান পরিচালনা করে তার বাসা থেকে ওই টাকা জব্দ করা হয়।
দুদকের দাখিল করা চার্জশিটে বলা হয়, আসামি পার্থ গোপাল বণিক গত বছরের ২৮ জুলাই দুদকে হাজির হযে অনুসন্ধান টিমের কাছে বক্তব্য দেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার বাসায় ৩০ লাখ টাকা নগদ আছে। এই টাকার বৈধ উৎস তিনি দেখাতে পারেননি। পরে অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্টে একাধিককার জামিন আবেদন করলেও আদালত আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ পর্যায়ে তিনি বিচারিক আদালত থেকে তিনি জামিন নেন।



 

Show all comments
  • Abdul Hamid ২৯ জুন, ২০২১, ৪:৩৯ এএম says : 0
    এটা বাংলাদেশ, এখানে আইন শুধু গরীব ও এ অসহায়দের বেলায় প্রয়োগ করা হয়। ( টাকা আছে আপনার তো সব আছে আপনার)
    Total Reply(0) Reply
  • Gazi Masud ২৯ জুন, ২০২১, ৪:৩৯ এএম says : 0
    এদেশের কোন টি যে স্বাভাবিক আর কোন টি অস্বাভাবিক বুঝা কঠিন। তবে কার কার বেলায় স্বাভাবিক আর কার কার বেলায় অস্বাভাবিক সেটা বুঝা যায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahabub Alam Bhuyan ২৯ জুন, ২০২১, ৪:৩৯ এএম says : 0
    এই দেশে দাদাদের জন্য সব কিছু সম্ভব
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiqul Islam ২৯ জুন, ২০২১, ৪:৪০ এএম says : 0
    হায় রে বিচার ব্যবস্হা যাকে নাকি হাতে নাতে ধরা খেলো তারও জাবিন হয়, এদের জন্য সবই সম্ভব .??
    Total Reply(0) Reply
  • সুইট বদরুজ্জামান ২৯ জুন, ২০২১, ৪:৪০ এএম says : 0
    দাদাদের জামিনের তদবির আসে দাদাদের দেশ থেকে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ