পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন হাত ঘুরে কিশোর গ্যাংয়ের কাছে অস্ত্র যাচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধের চেয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন বেশি করা হয়। আবার অনেক সময় এসব অস্ত্র ব্যবহার করে অপরাধও করছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে দেশে অস্ত্র প্রবেশ করছে। একটা সিন্ডিকেট আছে, সেই সিন্ডিকেট এসব অস্ত্র সংগ্রহ করছে। পরে এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধ করার চেয়ে মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনই বড় একটা কাজ। আবার অনেক সময় এসব অস্ত্র দিয়ে অপরাধও করা হচ্ছে। এর আগে গত ২৪ মে ঢাকার আশুলিয়ার নাল্লাপাড়া এলাকায় মসজিদের খাদেম নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে র্যাব-৪ দুজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন, চাইনিজ কুড়াল, দুটি ফোল্ডিং চাকু, চাপাতি ও ৩০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আশুলিয়ার একটি মসজিদের খাদেম মো. নজরুল ইসলাম এক নারীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল। সেই টাকা দিতে দেরি হওয়ায় দুজনের মধ্যে বিরোধ হয়। এতে নজরুলকে ডেকে হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগের পর আদালতে মামলা করেন নজরুল। ওই মামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারী আলিম নামে একজনকে দিয়ে মসজিদের খাদেম নজরুলকে শায়েস্তা করতে ঠিক করেন। পরবর্তীতে আলিম তার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়ে নজরুলকে কুপিয়ে জখম করে। খাদেমকে কুপিয়ে জখমের পর তারা আত্মগোপনে চলে যায়। কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েক দিন ধরে পালিয়েও বেরিয়েছিল। এলাকাবাসী দোষীদের গ্রেফতারে মানববন্ধন করে। সবশেষ গত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ১০-১২ জনের কিশোর গ্যাং সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী প্রধান অভিযুক্ত আলিমকে গ্রেফতারে র্যাব অভিযান চালায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, কিশোর বয়স থেকেই তারা দুষ্টু ও দুরন্ত। কিশোর বয়সেই তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে বলে আমরা কিশোর গ্যাং বলি। তাদের অনেক সঙ্গী আছে। তারা কোনো না কোনোভাবে মাদকাসক্ত। কিশোরদের মধ্যে ফিল বেশি কাজ করে, এতে তাদের সহজে মোটিভেট করা যায়। তাই তাদের মাধ্যমে জমিদখল, মাদক ব্যবসা, কাউকে মারধর বা ভাড়াটিয়া মধ্যস্ততাকারী দালাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।