Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যক্ষ্মা রোগীদের সাড়ে ৪ ভাগ করোনা পজেটিভ

নিপসমের জরিপের ফলাফল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

দেশে টিবি (যক্ষ্মা) রোগীদের মধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় কোভিড-১৯ শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া টিবি রোগীদের মধ্যে এইচআইভ/এইডস-এ আক্রান্তের হার শুণ্য দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি হাজারে ১ জন যক্ষ্মা রোগী এইডস-এ আক্রান্ত। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশাল মেডিসিন (নিপসম) এর জরিপে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার নিপসমের সভাকক্ষে আয়োজিত জরিপের ফালাফল প্রকাশ এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও জরিপের প্রধান গবেষক প্রফেসর ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের টিবি-ল্যাপ্রোসি অপারেশন প্লানের সৌজন্যে এবং গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে পরিচালিত এই জরিপ ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিতি ছিলেন টিবি-ল্যাপ্রোসি অপারেশন প্লানের লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. শামিউল ইসলাম।
এ সময় জানানো হয়, দেশের মোট জনগোষ্ঠির শুণ্য দশমিক শুণ্য এক শতংশ মানুষ এইচআইভি/এইডস-এ আক্রান্ত। তবে দেশে টিবি রোগীদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা কত সেই তথ্য জানতেই এই জরিপ করা হয়। মোট ১২ হাজার ৫৩ জন টিবি রোগীর ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়। সেখানে ১২ জনের শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই পরিবহণ শ্রমিক তবে ৪ জন গৃহিনী রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ৫ নারী। তবে ১৫ বছরের নীচের কোন টিবি রোগীর শরীরে এইচআইভি পাওয়া যায়নি। ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে রয়েছে ১ জন; ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে রয়েছে ২ জন; ৩ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে রয়েছে ৪ জন; ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে রয়েছে ৩ জন; এবং ৫৫ বছরে উর্ধ্বে বয়সীদের মধ্যে রয়েছে ২ জন। এইচআইভি আক্রান্তদের সাবাই ফুসফুস জনিত যক্ষ্মায় ভুগছেন।
জরিপের ফলাফলে আরও দেখা যায়, যক্ষ্মা ও আইচআইভির পাশপাশি এদের ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, ১৭ দশমিক ২ শতাংশ উচ্চরক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, ১৫ দশমিক ৪ শতাংশের অ্যাজমার জটিলতা রয়েছে, ৯ দশমিক ৮ শতাংশ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমনারি ডিজিজ) ভুগছেন এবং ২ দশমিক ৩ শতাংশের অন্যান্য মৃত্যুঝুঁকি যুক্ত রোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচাক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম বলেন, টিবি রোগীদের এমনিতেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তারপরে যদি তারা এইচআইভতে আক্রান্ত হন তাহলে ঝুঁকি অনেক বড়ে যায়। তাই মানুষের জীবন বাচাতে এ ধরনের জরিপ নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন।
প্রফেসর ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, দেশের টিবি ও এইচআইভি নিয়ন্ত্রনে এ ধরনের জরিপ পরিচালন অর্থায়ন অব্যহত থাকবে। এতে দেশে গবেষণার পরিসর বাড়বে এবং রোগ নিয়ন্ত্রনে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে।##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ