Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপকূলীয় জেলেদের মানবেতর জীবন

এ এম মিজানুর রহমানন বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা জীবন নির্বাহ করে আসছে দিনের পর দিন। কভিড-১৯ এর প্রার্দুভাব, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত, সমুদ্রে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের জীবনে চলছে মহাসঙ্কট। কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য অফিসের সূত্র মতে, এ উপজেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১৮ হাজার ৩০৫ জন। ২০ মে থেকে ৬৫ দিনের সমুদ্রে মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এরপর থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে জেলেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কেউ মজুরি দিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছে। কেউ আবার ঋণের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ছে। চরম হতাশায় ভুগছে উপকূলীয় জেলে পরিবারের সদস্যরা।
নিজশিববাড়িয়া গ্রামের জেলে মো. জহিরুল ইসলাম জানান, পুজিপাট্টা যা ছিল তা সব শেষ। ধার দেনা করে চলছি। সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শুরু হলে এলাকায় বিভিন্ন কাজ করে সংসার চলতো। এবারে সে সুযোগও নেই। পরিবারের খাবার জোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। মহিপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী আ. রহিম জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি, মাছ ধরা বন্ধ সব মিলিয়ে জীবনে চলছে ঝড়। কোনো রকমে বাইচ্চা আছি। কি করবো বুঝতে পারি না। ধারে আর ঋণেই চলছে সংসার। দৌলতপুর গ্রামের জেলে আ. কুদ্দুস জানান, গত ১ বছর ধরে অনেক কষ্টে সংসার চালাচ্ছি। মাছ ধরা নিষেধ থাকায় এ কষ্ট আরো বেড়ে গেল। সরকার যে চাল দেয় তাতে আমাদের কিছুই হয় না। মম্বিপাড়ার কয়েকজন জেলে জানিয়েছেন, প্রকৃত জেলেরা সরকারের দেয়া অনুদান ঠিকমতো পায় না। এছাড়া কিছু জেলে না হয়েও কার্ড পেয়েছে। ধার দেনায় জর্জরিত আমরা। প্রকৃত জেলেরা যেন কার্ড পায় সেদিকে নজর দেয়ার জোর দাবি জানান তারা।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, প্রথম ধাপে ১৮ হাজার ৩০৫ জন জেলেকে ৫৬ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলেদের বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ