রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনী পৌরসভার আওতাধীন ১৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মহিপাল মধুয়াই-সুন্দরপুর সড়কটির কার্পেটিং ওঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই বেহাল সড়কটি গত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় চালক ও যাত্রীদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, সেই সাথে জনমনে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহিপাল সার্কিট হাউজ জামে মসজিদের পূর্ব পাশ দিয়ে রাস্তার শুরু। যাওয়া যায় মধুয়াই-সুন্দরপুর, কুঠিরহাট, আড়কাইম, তাকিয়াবাজার, ডাকবাংলো, বক্তারমুন্সী, কাজীরহাট ও সোনাগাজী উপজেলায়। অন্যদিকে মাবুরহাট, বেকের বাজার, ফাজিলের ঘাট ও দাগনভূঞা উপজেলায় যাওয়া যায়। এসব জনগুরুত্বপূর্ণ শাখা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে ১ লাখের অধিক মানুষ ব্যবসায়িক কাজে, চাকরিজীবীরা কর্মস্থলে, শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা যাওয়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার উদ্দেশ্যে মহিপাল হয়ে ফেনী শহরে আসেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে মহিপাল থেকে মধুয়াই পোল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে করুণ দশায় পরিণত হয়েছে।
কেউ বলতে পারে না পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই রাস্তার অংশ বিশেষ কার অধীনে। স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ বলেন, বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর আগে সম্ভবত রাস্তার কাজ হয়েছিল এরপর থেকে আর কাজ হয়নি। দিন যত যায় সড়কের অবস্থা তত খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, এই বেহাল সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন।
তারা এই রাস্তার বিষয়ে বর্তমান নবনির্বাচিত মেয়র যখন এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তাকে বলেছেন তখন তিনি সরেজমিনে এসে রাস্তার অবস্থা দেখেজান এবং রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে গেছেন। সাবেক মেয়র হাজী আলাউদ্দিনকেও এ বিষয়ে অবগত করেছেন বলে তারা জানান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
৮০ বছরের বৃদ্ধ হাফেজ আহম্মেদ বলেন, গত কয়েকমাস আগে সিএনজি অটোরিকশা যোগে মহিপাল যাওয়ার সময় গাড়ি গর্তে পড়ে সামনের চাকা খুলে পাশে জমিনে পড়ে যায়। তখন আমার কোমরে প্রচণ্ড আঘাত পাই। তিনি বলেন, কবে যে এ রাস্তা মানুষ হবে আল্লাই ভালো জানেন।
এদিকে সড়কে চলাচলরত কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, আমরা এই সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে অনেক হিমশিম খাচ্ছি। কারণ পথে আমাদের অনেক যাত্রী ছিল কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে তারা এখন অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। তারা বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রায় ২ হাজারের ওপরে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতো। এখন ১ থেকে ২শ’ গাড়ি চলে। তারা আরও বলেন, আমাদের মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় হলে ১০ হাজার টাকা গাড়ি মেরামত কাজে খরচ হয়ে যায়। কারণ ভাঙাচুরা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ির কলকব্জা সব ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। এমনিতে করোনা পরিস্থিতির কারণে যাত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় সেদিকেও আছেন তারা মহাবিপদে। তারা এই বেহাল সড়কটি সংস্কারে এগিয়ে আসতে ফেনী সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর কাছে আকুল আবেদন জানান।
এ বিষয়ে ফেনীর নতুন মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ইনকিলাবকে বলেন, এ সড়কের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। প্রজেক্ট পাশ হলে কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।