রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুষ্টিয়ায় একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কুষ্টিয়া পৌরসভা ১৬নং ওয়ার্ড ও ১৮নং ওয়ার্ডের ২ গ্রামের বিশ হাজার মানুষ। কোনো মতে বাঁশের সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের দাবি জানিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দফতরের অফিসে ধর্না দিয়েও কোনো সুফল পাননি ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, বাড়াদী মরা গড়াই পশ্চিম মজমপুর-বাড়াদী বাঁশের সেতুটি দিয়ে দুটি গ্রামের বিশ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। বাঁশের সেতুটির পশ্চিম পাশের বাড়াদী গ্রামের অন্তত ১৫টি মহল্লার মানুষকে নিত্যদিন কৃষিপণ্য বিপণন, চিকিৎসা ও শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে হয়। এছাড়া পূর্ব দিকের পশ্চিম মজমপুর ১৫টি মহল্লার মানুষকে নানা কাজে যাতায়াত করতে হয় মরা খালের অপর দিকের মহাল্লাতে। প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়রাই বাঁশ ও খুঁটি দিয়ে বাঁশের সেতু তৈরি করে কোনো রকমে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও আজও নজরে পড়েনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের। ফলে দুটি গ্রামের মানুষের সেতুবন্ধন অধরাই রয়ে গেছে।
বাড়াদী গ্রামের স্কুল-ছাত্রছাত্রী জানায়, গত বছর ভারি বর্ষণে বাঁশের সেতুটি পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল। তখন আমাদের কষ্টের সীমা ছিল না। আমাদের এই এলাকার শতাধিক ছাত্রছাত্রী উদিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের ওই বাঁশের সেতু পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। পশ্চিম মজমপুর গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন জানান, পৌরসভার কোনো পদক্ষেপ না থাকায় এলাকার মানুষের প্রচেষ্টায় নিজেরাই বাঁশ সংগ্রহ করে বাঁশের সেতুটি তৈরি করেছি। ঠিকমতো সংস্কার না হওয়ায় দীর্ঘ বাঁশের সেতুটি এখন দুর্বল কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে আছে। অতি প্রয়োজনের সময় ঝুঁকি নিয়েই পার হতে হয়। যেকোনো সময় বাঁশের সেতুটি ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন, খলিল হোসেন ও কৃষক বাবুল হোসেন জানান, বর্ষার সময় বাঁশের সেতুটি ডুবে গেলে অনেক দূরের রাস্তা মঙ্গলবাড়িয়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তাতে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়ে কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এই দুই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি সেতু নির্মাণের। সেতুটি নির্মিত হলে শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনেতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। সেতু নির্মাণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম জানান, এলাকাবাসী দাবি জানালে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।