পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার ঘোষিত লকডাউনকে সফল করতে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে পুলিশ। চলতি বছরের ঘোষিত কয়েক দফা বিধিনিষেধের মতো এবার শিথিলতা দেখাতে যাচ্ছে না পুলিশ। পূর্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে মুভমেন্ট পাস নিয়ে কড়াকড়ি ছাড়া অন্য কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। তবে এবারের লকডাউনে হার্ডলাইনে থাকবে পুলিশ। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে করোনার রোগীর সংখ্যা। একদিকে যেমন বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার, তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা যেন অনিয়ন্ত্রিত না হয়ে পড়ে সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সোমবার থেকে লকডাউনের ঘোষণা করছে সরকার। প্রথম তিন দিন কিছুটা শিথিলতা থাকলেও বৃহস্পতিবার ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সদরদফতরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলতি বছরে যে কয়েকবার বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছিল সেসময় হার্ডলাইনে না গিয়ে জনগণকে সচেতন করার কাজ পুলিশ মাঠ পর্যায়ে করেছে। বিধিনিষেধের সময় গণপরিবহন, শপিং ও ঈদযাত্রা চালু থাকায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে হার্ডলাইনে যেতে পারেনি পুলিশ। তবে মুভমেন্ট পাস ও চেক পোস্টের মাধ্যমে বিধিনিষেধকে কার্যকর করার প্রচেষ্টা ছিল পুলিশের। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। করোনার ভারতীয় ভয়াবহ ধরন দেশে ছড়াচ্ছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, সেহেতু এবারের লকডাউনে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
ওই সূত্র আরো জানায়, নতুন লকডাউন ঘোষণার পরপরই হার্ডলাইনে থাকার নির্দেশনা পেয়েছে পুলিশ। সেই অনুযায়ী দেশব্যাপী পুলিশের প্রতিটি ইউনিটকে ইতোমধ্যে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে প্রস্তুত থাকার জন্য। লকডাউনের প্রজ্ঞাপন হাতে পাওয়ার পরপরই মাঠ পর্যায়ে পুলিশের কার্যক্রম দৃশ্যমান হব। লকডাউনের প্রজ্ঞাপন এখনও জারি না হওয়ায় ঠিক কীভাবে পুলিশ মাঠে থাকবে তা এখনও সুনির্দিষ্ট করে জানানো হচ্ছে না। প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। লকডাউনে সবাইকে সম্পূর্ণ মেনে চলতে হবে। কোনোভাবেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, জরুরি সেবা, সীমিত পরিসরে যেসব অফিস খোলা রাখার কথা রয়েছে তা ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান খুললেই আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। বিধিনিষেধ না মানলে বল প্রয়োগ করতেও এবারের লকডাউনে পুলিশ পিছ পা হবে না। প্রাথমিকভাবে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা ঠিক করছে বাহিনীটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এবারের লকডাউন হবে সর্বাত্মক। কাউকেই বিন্দুমাত্র সুযোগ দেয়া হবে না নিয়ম ভঙ্গের। লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিতে আমাদের কাছে ইতোমধ্যে মৌখিক নির্দেশনা এসেছে। প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর অফিসিয়াল নির্দেশ চলে আসবে আমাদের কাছে। এরপর থেকেই মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু।
সোমবার থেকে লাগবে মুভমেন্ট পাসঃ সোমবার (২৮ জুলাই) শুরু হওয়া লকডাউনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাইরে বের হতে পারবে না। যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হবেন তাদের অবশ্যই মুভমেন্ট পাস নিতে হবে। সড়কে চেকপোস্ট করে মুভমেন্ট পাস তল্লাশি করবে পুলিশ।
পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা বলেন, লকডাউনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে। সেই প্রজ্ঞাপনে যেসব বিষয় উল্লেখ থাকবে সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ করবে পুলিশ। লকডাউনে এবারও আগের মতোই মুভমেন্ট পাস নিতে হবে।
এদিকে রোববার ২৭ জুন সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীন দফতর-সংস্থাগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, সামনে যে লকডাউন, সেখানে পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এবার থাকবে। যাতে লকডাউন কার্যকরভাবে পালিত হয় এবং ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধ হয়, মৃত্যুর সংখ্যা যাতে অনেক কমিয়ে আনতে পারি। হাসপাতালগুলো অলরেডি অকুপাইড হয়ে গেছে, মানে রোগী ফিলাপ হয়ে গেছে। কাজেই আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।