পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত যেসব কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না তাদের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ভিসি প্রফেসর মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় প্রতিটি শিক্ষকের বেতন কলেজ থেকে দেওয়া হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। এরপরও বহু কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিটি কলেজে চিঠি দিয়েছি, যেসব কোর্সের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হচ্ছেনা, ওই বিষয়ের কোর্সটির অধিভুক্তি বাতিল করা হবে। তবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এটি করা হবে। গতকাল শনিবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রফেসর মশিউর রহমান বলেন, কিছু দুর্নীতিবাজ ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক সততার সঙ্গে জীবন যাপন করে। আমি অনেক অধ্যাপককে দেখেছি অবসরের পর একটি ফ্ল্যাট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক শিক্ষক রঙ্গিন টিভিও কিনতে পারেন না। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নয়, মাধ্যমিক-প্রাথমিকের ৯৫ ভাগ শিক্ষক সততার সঙ্গেই জীবন ধারণ করছেন। অথচ আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাই শিক্ষকের দুর্নীতির সচিত্র প্রতিবেদন, যা খুবই দুঃখজনক। দুর্নীতি প্রতিরোধ সেল গঠিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নীতিগতভাবে এটি করা হয়েছে। এর জন্য একটি অফিস লাগবে, যার কাজ চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
মহামারীকালে সেশনজট দূর করতে পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী বর্ষে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে এক ক্লাসে ২-৩ বছর আটকে না থাকে, তাদেরকে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হয়েছে। তার মানে, তাদের অটোপ্রমোশন দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি ভালো হলে আমরা তাদের পরীক্ষাগুলো নেব।
অনলাইনে ক্লাস ও অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছর আমরা বৈঠকে বসেছিলাম এবং সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি কোর্সে ১০টি করে লেকচার আমরা অনলাইনে আপলোড দেব। সেই হিসাবে প্রায় ১৩ হাজার লেকচার হয়। ইতোমধ্যেই আমরা প্রায় সাত হাজার লেকচার আপলোড দিয়েছি এবং বাকিগুলো শিক্ষকদের কাছ থেকে পেলে ধীরে ধীরে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি অনলাইন ক্লাসে তাদের বড় প্রতিবন্ধকতা নেটওয়ার্কের সমস্যা। এছাড়াও কিছু কিছু শিক্ষার্থীর আর্থিক সমস্যাও রয়েছে। এগুলোর ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। আর অনলাইনে পরীক্ষার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা হয়েছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের কয়েকজনকে নিয়ে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই এই কমিটির সভা রয়েছে। সেখানে আমরা অনলাইনে এমসিকিউ পদ্ধতিতে কোন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বা পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন করে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করব। মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।