Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতের কাছে দুই কোটি টিকা পাওনা আছে

সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভারতের কাছে দুই কোটি টিকা বাংলাদেশের পাওনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে তিন কোটি টিকার চুক্তি করেছিলাম, পেয়েছি মাত্র ৭০ লাখ। আর উপহার হিসেবে দিয়েছিল ৩০ লাখ। ভারতের কাছে এখন দুই কোটি টিকা পাওনা আছে। চীনের সঙ্গে আমাদের দেড় কোটি টিকার চুক্তি হয়েছে। কোভ্যাক্স ফেসিলিটি যে আছে সেখানে ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা বুকিং দেয়া আছে। যেটা ডিসেম্বরের মধ্যে দেয়ার কথা। গতকাল শনিবার মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ১১ কোটি টিকা আমাদের হাতে আসতে পারে। এই টিকা পেলে দেশের সাড়ে ৫ কোটি মানুষকে আমারা দিতে পারব। টিকার মাধ্যমেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি টিকা পেলে আমাদের ৮০ শতাংশ কাভার হয়ে যাবে।

দেশে টিকা তৈরির বিষয়ে তিনি বলেন, টিকা তৈরির বিষয়ে প্রাধনমন্ত্রী খুবই আগ্রহী। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মিটিং করা হয়েছে। টিকা তৈরির জন্য প্রজেক্ট প্ল্যান তৈরি করতে বলা হয়েছে। গোপালগঞ্জে আমাদের যে ওষুধ তৈরির কারখানা রয়েছে সেখানে করোনা টিকা তৈরির ব্যবস্থা করেছি।

লকডাউন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সারা দেশে কঠোর লকডাউন দেয়া হচ্ছে। কারণ আপনারা জানেন কয়েকদিন ধরে দেশে মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। গতকালও ১০৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। সংক্রমণের হারও প্রায় ২২ শতাংশের কাছে চলে গেছে। দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা লকডাউন চাই না। কারণ লকডাউনে মানুষের ক্ষতি হয়, দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হয়। কাজেই এটা আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু মানুষের জীবন রক্ষার্থে এবং করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের এই লকডাউন দিতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনের ওপর আমরা নির্ভরশীল নয়, লকডাউন দিতে হয় বাধ্য হয়ে। এই সংক্রমণকে রোধ করার জন্য একমাত্র পন্থা হলো লকডাউন, যদি আপনার হাতে টিকা না থাকে। বিশ্বের সকল দেশই লকডাউন দিয়েই করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ১৩ শতাংশ হয়ে গেছে। আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাসপাতালে প্রায় ৫ হাজার করোনা রোগী আছে। যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল তখন এই সংখ্যা ছিল এক হাজার। করোনা সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে আমারা হাতপাতালে রোগীদের জায়গা দিতে পারব না এবং চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আমরা গতকালই কোভ্যাক্স থেকে ২৫ লাখ মডার্নার টিকা পেয়েছি। এই টিকাগুলো দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী আট থেকে দশ দিনের মধ্যে চীনের টিকাও দেশে পৌঁছে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ