পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মির্জা ফখরুলের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না -ওবায়দুল কাদের
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য কেউ বিশ্বাস করবে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ ধরনের কথা বললে বিএনপির ভোট ব্যাংকের ক্ষয় হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বনানীর সেতু ভবনে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৩ মার্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি নিয়ে হামলা করেন এক যুবক। ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েলের চেষ্টা করছেন। ওবায়দুল কাদের হামলার পরদিন বলেন, যে সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠী এই হামলা করেছে, তাদেরকে মদদ দেয় বিএনপি। এর জবাবে পরদিন বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ এই হামলাকে আওয়ামী লীগের মস্তিষ্কপ্রসূত আখ্যা দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার কারাদন্ডকে আড়াল করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল ইসলামও ওই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এসে যাবে তাহলে কি আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকবার যে হীন উদ্দেশ্য, সেই উদ্দেশে দেশকে একটা অকার্যকর ও জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়?
বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, জাফর ইকবালের ওপর হামলায় আওয়ামী লীগের হাত আছে এটা বাংলাদেশের কেউ বিশ্বাস করবে না। আওয়ামী লীগ জাফর ইকবালের ওপর হামলা করবে এটা বিএনপির মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ডের অংশ।
২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াতের বর্জনের মুখে একতরফা নির্বাচনে সহজ জয় পেলেও এই ধরনের নির্বাচন আওয়ামী লীগের কাম্য নয় বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি ইলেকশনে এলে নির্বাচনটা প্রতিদ্ব›িদ্বতা পূর্ণ হবে। এতে আমাদের লস কোথায়? আমরা একটা ভালো প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ ইলেকশন চাই।
সরকার খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সাজানো নির্বাচন করতে চায় বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) নিজেরা নিজেদের সরিয়ে ফেলছে কি না এটাই আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা তো জানতাম তারা নির্বাচনে আসবে। এখন তারা যদি বলে তাদের সরিয়ে রাখার বিষয়, সরিয়ে কে রাখছে? বেগম জিয়াকে আদালত দন্ড দিয়েছে। জেলে আছেন আদালতের আদেশেই। এখানে সরকারের কোনো বিষয় নেই। আদালত যদি তাকে মুক্তি দেয় দন্ড থেকে খালাস দেয়, আমাদের কোনো কিছু বলার নেই। এখানে সরকারের কোনো কিছু করার নেই।
খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর বিএনপি এলোমেলো হয়ে গেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নিজেরা একেক সময় একেক কথা বলে, তাদের নিজেদের মধ্যে কোনো মিল নেই। তাদের নেতাদের মধ্যে কোনো মিল নেই। তারা একেকজন একেক সময় একেক কথা বলে। তাদের কর্মসূচির ঠিক নেই। মিনিংফুল কোনো কর্মসূচি তারা দিতে পারেনি। তাদের ডাক জনগণ শুনে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।