রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ মিয়ার অনিয়মের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকাল ৫টায় উপজেলার জামপুর মোড়ে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। এ সময় মেম্বার তারা মিয়া বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ চলছে। যা দৈনিক নগদ মজুরির বিনিময় জনপ্রতি ২০০ টাকা বেতন পাবে শ্রমিকরা। এখানে নারী পুরুষ উভয়ে কাজ করে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি নিয়াম অনুযায়ী, মাস্টার রোলে ও হাজিরা খাতায় ১৫৩ জন শ্রমিকের স্থলে কাজ করেন ৩০/৩২ জন শ্রমিক। চেয়ারম্যান ও তার লোকজন নিজেরাই টিপসই ও স্বাক্ষর করে নেয় টাকা। এছাড়া যারা কাজ করে তাদের মজুরিও কম দেয়া হয়। এরই প্রতিবাদ করলে গত ১০ জুন পরিষদের মধ্যে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাকে লাথি চড়-থাপ্পর কিল-ঘুষি মেরে জখম করে। পরে বাইরে টেনে নিয়ে চেয়ারম্যান আমার ওপর অত্যাচার করে। এরপর আমাকে আহত অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয় লোকজন।
এ বিষয় সদরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আসলাম ফকির জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বার তারার অনিয়মের অভিযোগ ও মাইরের ঘটনা দুটিই সত্য। পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডর মেম্বার বলেন, মানিকদাহ ইউপি থেকে কবরস্থান পর্যন্ত একটি প্রকল্প ও রাস্তা উন্নয়নের কাজের অর্থ তিনি আত্মসাত করেছে।
এ বিষয়ে মানিকদাহ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ মিয়া বলেন, তারা ভূঁইয়ার মারামারি ঘটনা আমি শুনেছি। তবে পরিষদের সংশ্লিষ্ট ঘটনা না। আমি বা আমার কোনো লোকজন এ ঘটনায় জড়িত নয়। একটি মহল আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীদের এ অভিযোগ দিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিমউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।