Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খসে পড়ছে পলেস্তারা : দুর্ঘটনার শঙ্কা

নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়

নজরুল ইসলাম মল্লিক, অভয়নগর (যশোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ প্রায় শতবছরের পুরাতন নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল মূল ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই দ্বিতল ভবনটি। যেকোন সময় ভেঙে পড়ে প্রাণহানী ঘটাতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন শিক্ষার্থী-শিক্ষকবৃন্দ।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলটির মূল দ্বিতল ভবনের ছাদ থেকে খসে পড়ছে চুন-সুড়কি, খসে পড়ছে মোয়া মুড়কির মতো ইটের খোয়া, রডের ভগ্নাংশ এবং পলেস্তার। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে একটানা বৃষ্টির ফলে ছাদ বেয়ে বৃষ্টির পানি গড়িয়ে পড়ে ভিজে যাচ্ছে শ্রেণিকক্ষ। এলাকার বিদ্যা অনুরাগীগণ ১৯২৭ সালে এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। উপজেলার শিল্প ও বাণিজ্য শহর নওয়াপাড়ার প্রাণকেন্দ্রে গড়ে ওঠা এ বিদ্যাপীঠে নির্মিত পাকা দোতালা ভবন সময়ের পালাবদলে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বার্ধক্যে এসে স্কুলটি সেজেছে বৈধব্যের সাজে। বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা আতংকে থাকে, দুর্ভাবনায় থাকে কখন চুন সুড়কির স্তূপ মাথায় ভেঙে পড়ে প্রাণ যায়। শিক্ষকদের শঙ্কাও কম থাকছে না। কয়েকবার ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় অভিভাবকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট তারিখে স্কুলটিকে সরকারিকরণ করেছে। বর্তমানে উপজেলার মধ্যে একটিমাত্র সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্কুলটি স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু জরাজীর্ণ শ্রীহীন দ্বিতল ভবনটির শ্রীবৃদ্ধি ঘটেনা। সরকারিকরণ হওয়ার প্রায় ৪ বছরের মধ্যে স্কুলটিতে কোন নতুন ভবন গড়ে ওঠেনি।
প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে দেয়া হয়েছে। পুরাতন মূল দ্বিতল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা পূর্বক জরুরিভাবে ভেঙে ফেলা দরকার। তাছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনাসহ একাডেমিক ওয়ার্ক সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে বহুতল বিশিষ্ট নতুন ভবন বরাদ্দ পেলে ভাল হয়। জীর্ণতা দূর করার পাশাপাশি ঝুঁকিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলটিতে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি (সাধারণ), এসএসসি (ভোকেশনাল) ও বাউবি’র এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানাদি এ বিদ্যালয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। জাতীয় ও স্থানীয় স্বার্থে এ স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ খুবই জরুরি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ