পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনাহীন ধারাবাহিক বিধি নিষেধ ও অঞ্চল ভিক্তিক লকডাউনে তেমন সুফল আসছে না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জনগণকে সম্পৃক্ত করে পরিকল্পিত লকডাউন না দেয়ায় প্রতিদিন মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছে। সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গতকালও নমুনা পরীক্ষায় দেখে গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা শনাক্তের হার শতকরা একশ শতাংশ। তারপরও করোনা ও টিকা সংগ্রসসহ সবকিছুতেই গা-ছাড়া ভাব পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে দেখা যায়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৮ জন। আর এর মধ্য দিয়ে আবারো দেশে একদিনে ৬ হাজার রোগী শনাক্ত ছাড়িয়ে গেল। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে সরকারি হিসাবে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৩৫-এ। দৈনিক মৃতের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য কমলেও এখনো আশির উপরেই আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার এ সংখ্যা ছিল ৮৫। নতুন মৃত্যু ৮১ জন নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১৩ হাজার ৮৬৮ জন।
এর আগে করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে চলতি বছরের ১ এপ্রিল দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ে ৭ এপ্রিল করোনাকালের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন রোগী শনাক্তের তথ্যও জানানো হয়। টানা কয়েকদিনে উপর-নিচ হয়ে সবশেষ গত ১৩ এপ্রিল এক দিনে ৬ হাজার ২৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর আসে। এর প্রায় ১০ সপ্তাহ পরে ২৪ জুন ফের দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়াল। গত ২৩ জুন দেশে পাঁচ হাজার ৭২৭ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে ৫৫৪টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে হচ্ছে ১২৬টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে ৪৬টি পরীক্ষাগারে এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩৮২টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন ৩ হাজার ২৩০ জন। এদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন মোট ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৮৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১ হাজার ২০৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৫৯ জন, রংপুর বিভাগের ১০০ জন, খুলনা বিভাগের ৪৯১ জন, বরিশাল বিভাগের ৮১ জন, রাজশাহী বিভাগের ৫৮৮ জন, সিলেট বিভাগের ৮৫ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ১৮ জন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৩০ হাজার ৯৯৪টি, আর গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৯১টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৬টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৯০টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৬টি। এদিন করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ০৫ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮১ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন আর নারী ২৬ জন। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত পুরুষ রোগী মারা গেছেন ৯ হাজার ৯২০ জন আর নারী ৩ হাজার ৯৪৮ জন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব আছেন ৩৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ১৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে আছেন নয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আছেন নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে আছেন আটজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মারা গেছে একজন।
মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগরে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ৭ জন করে রাজশাহী বিভাগের ২০ জন, খুলনা বিভাগের ২৩ জন, সিলেট বিভাগের ৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৩ জন ও বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ৩ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৬২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪ জন আর বাড়িতে মারা গেছেন ৫ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।