বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
হোসেন মাহমুদ
বাংলাদেশের মানুষের কারো আজ এ কথা অজানা নেই যে মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) অনেকদিন ধরে ভালো অবস্থায় নেই। ভালো অবস্থার নানা রকম অর্থ হতে পারে। এ লেখায় সেসব অর্থ খুঁজতে যাওয়া নিষ্প্রয়োজন। সাধারণভাবে বলা যায়, দলটি রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে নেই। সবচেয়ে বড় কথা, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি আপাতত দলটির হাতে নেই। হয়ত দলের পুনর্গঠন কাজ চলছে বলে শীর্ষ নেতৃত্ব রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হয়ে নতুন করে কোনো ঝুঁকির আশংকা পরিহার করতে চাইছেন। কারণ, দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এক বিরাট অংশ অসংখ্য মামলার শিকার যা সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তাদের অভিযোগ। এসব মামলার কারণে শুধু যে জেলেই যেতে বা থাকতে হয় তাই নয়, নিজ বাড়িঘরেও থাকা কঠিন। হয় পুলিশ নয় সরকারি দলের লোকজন অথবা উভয়েই তাদের খোঁজে বলে শোনা যায়। বিএনপির কোনো কোনো নেতা জেলখানা ও বাসভবনে আসা যাওয়ার মধ্যেই রয়েছেন। যেমন মির্জা ফখরুল বা রিজভী আহমেদ। যাহোক, মামলা তো বটেইÑ সাংগঠনিক সমস্যার কারণেও বিএনপি এখন জনগণ ও রাজপথ-গণতন্ত্রের এ দু’প্রধান অবলম্বন ও ক্ষেত্র থেকে সরে আছে। তার অর্থ আবার এই নয় যে দলটি জনবিচ্ছিন্ন। বরং এটা বললেই বোধহয় ভালো হয় যে দলের নেতাকর্মীরা এখন বাস্তব কারণেই জনগণের পাশে থাকতে বা তাদের কোনো সমস্যা সমাধানে গলায় জোরালো কোনো স্লোগান তুলতে পারছেন না।
সে যাই হোক, ২০০১-২০০৬ মেয়াদে শেষবারের মতো ক্ষমতা ছাড়ার পর বিএনপি আর রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। অদূর ভবিষ্যতে সে সুযোগ দলটি আর পাবে কিনা তা কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়। গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের বিস্তৃত মাঠে কোথাও বর্তমানে গণতন্ত্রের নকশিকাঁথা বিছানো নেই। এখন কোনো জনসভা করতে গেলে ডিএমপির অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সে অনুমতি মেলে না বলে বিএনপি আর আগের মতো নয়াপল্টনে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জনসভা করতে পারে না। সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি আরো অনেক কিছুই পারে না। রবীন্দ্রনাথের গানের পঙক্তির মতো তাদের চলার ‘পথে পথে পাথর ছড়ানো।’ সাধ্য কি দলটির যে সে পাথর ছড়ানো পথে হাঁটে!
সেই কতকাল আগে দিগি¦জয়ী মহাবীর আলেকজান্ডারের বিজয় রথ উপমহাদেশে এসে দাঁড়িয়েছিল। পাঞ্জাবপ্রান্তে এসে জনপদ ও প্রকৃতির অপূর্ব রূপ দেখে অভিভূত হয়ে নাকি তিনি সেনাপতি সেলুকাসের উদ্দেশ্যে বলে উঠেছিলেনÑ কী বিচিত্র এ দেশ সেলুকাস! তার সেই বিস্ময়োক্তির সাথে আধুনিককালের রসিক কোনো বাঙালি যোগ করেছিলেন একটি বাক্যÑ ততধিক বিচিত্র এ দেশের মানুষ।
এ দেশের মানুষের চরিত্র যে সত্যিই বিচিত্র তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তারই সর্বসাম্প্রতিক নজির হচ্ছে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু কর্মকা-। বলা দরকার, ১৯৭৫-এ বাকশাল গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ বলে আর কিছু ছিল না। দলটিকে ঘোষণা দিয়ে বিলুপ্ত করা হয়নি। মূলত বাকশাল গঠনের পর থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সকল রাজনৈতিক দলের যেমন বিলুপ্তি ঘটে তেমনি আওয়ামী লীগও বিলুপ্ত হয়। পরে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তার মধ্যে আওয়ামী লীগও ছিল। কিন্তু সময় পেরনোর সাথে সাথে একটি পর্যায়ে আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল বিএনপি। তখন বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য জিয়াউর রহমানকে খাটো করা অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। তারই পরিণতিতে তার মর্যাদা হানির প্রয়াস শুরু হয়। প্রথমদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যায় তার মৌন সমর্থন ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এটি ক্রমেই জোরালো হতে থাকে। তবে তাতে খুব একটা ফল না হওয়ায় সাম্প্রতিককালে তার বিরুদ্ধে প্রচারণা আরো ব্যাপক হয়। বলা হয়, জিয়া আইএসআই-এর চর ছিলেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি যুদ্ধ করেননি ইত্যাদি। এ প্রচারণা পর্বে গত বছর ফেসবুকে ইংরেজিতে একটি হাতে লেখা চিঠির ফটোকপি প্রকাশ করা হয়। দেখা যায়, চিঠিটি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৯ মে মেজর জিয়ার কাছে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে জনৈক কর্নেল বেগ লিখেছেন। তার চিঠির ভাষ্যে বোঝা যায় যে জিয়া পাকিস্তান বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেই কাজ করে যাচ্ছেন। এ চিঠি থেকে প্রমাণ মেলে যে জিয়া পাকিস্তানিদের লোক ছিলেন। কিন্তু কৌতূহলের বিষয় যে জিয়ার কাছে লেখা এ চিঠি তো তার কাছেই থাকার কথা। তিনি মারা গেছেন ১৯৮১ সালে। এতদিন পর এ চিঠি কোথা থেকে এল? আবার জিয়া যদি পাকিস্তানি চরই হয়ে থাকেন তাহলে পাকিস্তান বাহিনীর সাথে তার সংশ্লিষ্টতার এ জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ কি তিনি বিনষ্ট না করে তারই বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য সংরক্ষণ করেছিলেন? তা কেউ কখনো করে? বিশেষ করে তার মতো চৌকস ব্যক্তি কি এ রকম করতে পারেন? যদি এটা সত্য ঘটনাই হয়ে থাকে তাহলে সরকার তদন্ত করে তা জাতির কাছে প্রকাশ করে না কেন?
বলা দরকার, বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ জিয়াউর রহমানকে এখনো শ্রদ্ধা করেন, ভালোবাসেন। বলা হয়, দেশের মোটামুটি ৩৫ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করেন। একটা সময় ছিল যখন সমর্থক মানুষের সংখ্যা ৩৫ শতাংশ থেকে আরো বেশি হতে পারত। এখন জিয়াকে ভালোবাসেন এ রকম মানুষের সংখ্যা অনেক হ্রাস পেয়েছে। কারণ, জিয়াকে যারা দেখেছিলেন, কাছে পেয়েছিলেন তাদের অনেকেই আজ মারা গেছেন বা বয়োবৃদ্ধ হয়ে অচল হয়ে পড়েছেন যাদের সমাজে কোনো ভূমিকা নেই। আর জিয়ার রাজনৈতিক মতাদর্শ বর্তমান তরুণ সমাজের কাছে তুলে ধরার ব্যাপারে বিএনপির কোনো কর্মসূচি নেই। ফলে দেশবাসীর কাছে জিয়ার ভাবমর্যাদা ক্রমশ ক্ষীয়মান। তবে ‘লিজেন্ড’ হিসেবে এখনো জনসমাজে তার ব্যাপক প্রভাব রয়ে গেছে।
জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রতিপক্ষ। এ দলটি যদি রাজনৈতিক অঙ্গনে না থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামী লীগের যুগের পর যুগ ক্ষমতায় থাকার অত্যন্ত উজ্জ্বল একটি সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং বিএনপির নিজস্ব কিছু ভুলত্রুটির সাথে নানাভাবে জনগণের কাছে দলটিকে পচিয়ে ফেলার পথ খুঁজতে থাকে তারা। তার পাশাপাশি বিএনপিকে হেনস্থা যতভাবে করা সম্ভব সে পন্থাও নেয়া হয়।
অনেকদিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে সরকার জিয়াউর রহমানের মাজারকে সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলতে চাইছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, সংসদ ভবন এলাকার জন্য মার্কিন স্থপতি লুই কানের মূল নকশায় যা নেই সেসব মাজার-কবর বা অন্য কোনো স্থাপনা সংসদ ভবন এলাকায় রাখা হবে না। এ জন্য সরকার বহু লক্ষ ডলার ব্যয় করে কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে লুই কানের মূল নকশার কপি সংগ্রহ করেছে। শোনা যাচ্ছে যে আসছে বিজয় দিবসের আগেই জিয়ার মাজার সংসদ ভবন এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলা হতে পারে। এরপর সে কবর বগুড়ায় নেয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে জিয়ার কবর কবে ও কোথায় স্থানান্তর করা হবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এখানে জিয়া পরিবারের বা বিএনপির কোনো ভূমিকা নেই।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিগত কিছু দিনে বেশ কয়েকবার বলেছেন যে জিয়ার কবরে আসলে তার লাশ নেই। সর্বশেষ তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, যদি সেখানে জিয়ার দেহ থাকে তাহলে তিনি নাকে খত দেবেন ও জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন। তিনি ডিএনএ পরীক্ষারও দাবি জানান।
বিএনপি তার এ দাবির ব্যাপারে কোনো কথা বলেনি। তারা জিয়ার কবরে তার লশ আছে সে কথা প্রমাণ করতেও যায়নি। তবে জিয়ার কবরে কোনো লাশ আছে কিনা তা সবচেয়ে ভালো বলতে পারেন এরশাদ। কারণ, তিনি তখন সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন। সে কারণে সত্যমিথ্যা সবই তার জানার কথা। কিন্তু তিনি জিয়ার পদক বাতিল বা কবর সরানোর ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে বলেছেন এটা সরকারের ব্যাপার। কিন্তু কবরে জিয়ার লাশ আছে কি নেই সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। বলবেন বলেও মনে হয় না। এ সব থেকে যেটা বোঝা যায় তাহল- যে কোনোভাবেই হোক, জিয়াউর রহমানের ভাবমর্যাদা ও প্রভাব ধূলিসাৎ করার সম্ভাব্য সকল পথ গ্রহণ করেছে সরকার। সে সাথে বিএনপিকে নির্মূল করারও সর্বতোমুখী প্রচেষ্টা চলমান। এর বিপরীতে বিএনপি আত্মরক্ষামূলক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দু’একজন নেতা জিয়ার স্বাধীনতা পদক বাতিলকে সরকারের প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করার মধ্যে তাদের তৎপরতা সীমাবদ্ধ রেখেছেন। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়, জিয়ার স্বাধীনতা পদক বাতিল ও কবর সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি বিএনপি মেনে নিয়েছে! তারা এ নিয়ে কোনো আন্দোলন-মিছিল বিক্ষোভ করতে চান না। তবে বিএনপি কিছু করুক বা না করুক, সরকারের এসব পদক্ষেপ ও মন্ত্রীদের কথাবার্তা জনগণের অনেকেই ভালোভাবে নিয়েছেন বলে মনে হয় না। তারা সংঘবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করছেন না বা করতে পারছেন না বটে, তবে তার অর্থ এই নয় যে সবাই এ ব্যাপারটি সমর্থন করছেন।
ইতোমধ্যে সরকার অপর একটি কাজ সম্পন্ন করেছে। জিয়াউর রহমানকে দেয়া স্বাধীনতা পদক বাতিল করা হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি জিয়ার পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে জাদুঘরে রাখা তার স্বাধীনতা পদক ও সম্মাননাপত্র গত ৭ সেপ্টেম্বর সরিয়ে ফেলার কথা জানা গেছে। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জিয়াকে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়েছিল। তখন উক্ত পদক ও সম্মাননাপত্র কোনো উত্তরাধিকারীকে না দিয়ে জাতীয় জাদুঘরের একটি কর্ণারে সংরক্ষণের জন্য সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়। তদনুযায়ী সেগুলো এতদিন সেখানে ছিল। এদিকে জানা গেছে, জিয়া শিশু পার্কটিও থাকছে না। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র হবে। শীঘ্রই তার কাজ শুরু হতে যাচ্ছে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিনা, মুক্তিযুদ্ধে তিনি কী করেছেন না করেছেন সে কথা দেশের শিক্ষিত-সচেতন সব মানুষেরই কম-বেশি জানা আছে। তবে সবচেয়ে ভালো জানেন তার সহযোদ্ধা যারা এখনো জীবিত আছেন। যেমন কর্নেল (অব) অলি, মেজর জেনারেল (অব) সুবিদ আলী ভুঁইয়া, মেজর (অব) হাফিজ উদ্দীন আহমদ প্রমুখ। তারা কেউ এখন মুখ খুলবেন কিনা, সত্য বলবেন কি না, সে সত্য সরকারের মনঃপূত না হলে তা গ্রহণ করা হবে কিনা ইত্যাদি নানা ব্যাপার রয়েছে। এটাও ঠিক যে জিয়ার পক্ষে যদি সত্য বলা হয়, তাহলে যিনি বলবেন তিনি সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। আজ বহু মানুষই বলছেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক বাতিল করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকাকে অস্বীকার করা, তার অর্থ মুক্তিযুদ্ধকেই অস্বীকার করা। ইতিহাসের সত্য এই যে বঙ্গবন্ধু ছাড়া যেমন বাংলাদেশ হয় না তেমনি জিয়া ছাড়া মুক্তিযুদ্ধও হয় না। অনেকেই বলছেন, এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বিভক্ত জাতির সামনে বিভক্তি ও অনৈক্যের ফাটল নতুন করে প্রসারিত করা হল।
আমরা শান্তি পিয়াসী সাধারণ মানুষ যে কোনো অশান্তির বিরোধী। তারপরও প্রতিকূল সময় জাতীয় জীবনে নানা ঝড়-ঝাপটা বয়ে আনে। সেসব হয়ত সহ্য করা যায়। কিন্তু তা যদি প্রলয়ের রূপ গ্রহণ করে তখনি হয় প্রকৃত বিপদ। এখন এ সবের মধ্য দিয়ে আগামীতে দেশের পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়, তাই দেখার অপেক্ষা।
য় লেখক : সাংবাদিক
যথসধযসঁফনফ@ুধযড়ড়.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।