Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় যে কারণে কেউ থাকতে চায়না সরকারি কোয়ার্টারে ...

বগুড়া থেকে মহসিন রাজু | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২১, ৫:৩৪ পিএম

বগুড়া শহরের বেসরকারি ভাড়া বাসার সাথে সরকারি কোয়ার্টারের ভাড়া সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় গণপূর্ত বিভাগের ফ্লাটগুলো দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে আছে। এরফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাড়িগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নিয়মিতভাবে বাড়িগুলোর ফিটিংস / ফিক্সার চুরি ও লোপাট হয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর পরিবেশ হয়ে উঠছে ভুতুড়ে।
মাদকসেবিরা পরিত্যক্ত ভবনগুলোকে মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিনত করে তুলছে । অথচ এগুলেতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিগন স্ব-পরিবারে বসবাস করলে একদিকে যেমন কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই ভবনগুলো নির্মানের স্বার্থকতা প্রমানিত হতো । একই সাথে প্রাইভেট পর্যায়ের ভাড়াবাড়ির মালিকরা তাদের বাড়ি ভাড়া কিছুটা হলেও কমাতে বাধ্য হতো বলে মনে করেন বগুড়ায় বসবাসকারি ভাড়াটিয়ারা।

বিষয়টি সম্পর্কে বগুড়ার গণপুর্ত অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায় , শহরের মালতিনগর এলাকায় ৩২ একর জমির ওপরে এ ক্যাটাগরিতে ৮টি বিল্ডিং ৪র্থ শ্রেনীর সরকারি কর্মচারিদের জন্য ৯৬ টি, বি ক্যাটাগরিতে তৃতীয় /২য় ¤্রনেীর কর্মচারিদের জন্য আরও ৯৬টি ২০২টি ফ্লাট নির্মান করা হয়। এছাড়া অফিসারদের জন্য ১টি এবং বিদেশিদের জন্য আরেকটি ভবন রয়েছে।

কিন্তু সব মিলিয়ে এসব ফ্লাটে এখন ২০/২৫টি পরিবার বসবাস করছে। এতে ষ্টাফ কোয়ার্টার নামে পরিচিত এই বিরাট সরকারি হাউজিংটিতে বিরাজ করছে ভুতুড়ে পরিবেশ। ৮০ দশক পর্যন্ত এসব কোয়ার্টার গুলোতে বরাদ্দ নেওয়ার জন্য চলতো তিব্র প্রতিযোগিতা / লবিং। অথচ এখন সেখানে কেউ থাকতে চায়না কেন ?
জানতে চাইলে বগুড়া গণপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহরীয়ার জানান, বাস্তবতা হল এখন সরকারি কেয়ার্টাারে থাকলে একজন সরকারি /কর্মকর্তা কর্মচারির যে পরিমানে টাকা হাউজরেন্ট কাটা যায় তার চেয়ে অনেক কম টাকায় শহরের উন্নত পরিবেশে ভালো মানের প্রাইভেট বাসা ভাড়া পাওয়া যায়। মুলত সেকারনেই সরকারি কোয়ার্টারগুলো খালি ফাঁকা পড়ে থাকছে।

গণপুর্ত বিভাগের কয়েকজন প্রবীন কর্মকর্তা জানালেন , ৮০’র দশক পর্যন্ত বগুড়ায় যখন পর্যাপ্ত বিল্ডিং ছিলোনা তখন সরকারি কোয়ার্টারগুলোতেই বাসা বরাদ্দ পাওয়ার জন্য চলতো কতো লবিং কত তদ্বির !

এ পরিস্থিতির অবসানের জন্য প্রবীন কর্মিদের অভিমত হল সরকারি কর্মকর্তা /কর্মচারিদের হাউজরেন্ট ল’ বা বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত আইন পরিবর্তন করতে হবে । সরকারি কোয়ার্টারের প্রতি বর্গফুট স্পেসের ভাড়া বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য করলেই বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে ধারনা তাদের।
বগুড়া জেলা প্রশাসন অফিসের একটি সুত্র জানিয়েছে , ২০২১ সালের মার্চে বগুড়ার তৎকালিন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ বাকী উল্লাহ এক সংক্রান্ত একটা অফিসিয়াল সার সংক্ষেপ জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে উপস্থাপনের পাঠিয়েছেন। বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধিন বলেও সুত্রটি জানিয়েছে ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ