পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রায় সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠার পর গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুন) কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম এবং লেনদেনের পরিমাণ। শেয়ারবাজারে এই দরপতনকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন বলছে বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কিছুটা বাড়ার পর আবার কিছুটা কমবে এটাই শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কয়েকদিন শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল, যে কারণে এখন কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
এর আগে গতকাল সোমবার শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক প্রায় সাড়ে তিন বছর বা ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে আসে।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মাঝে সূচক কিছুটা বাড়লেও তা শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি। ফলে সূচক ঋণাত্মক থেকেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ১০৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ২০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৪টির এবং ৩১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেন, এটা স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন। সূচক কখনো কমবে, কখনো বাড়বে এটাই শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এভাবেই বাজার সামনে এগিয়ে যাবে।
এদিকে সূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় দুই হাজার ৪৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৯৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ম্যাকসন স্পিনিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে দুই পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৪টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।