পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পুঁজিবাজারে সূচকের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক ৭৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি আগের তিন বছরের মধ্যে সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে। এর আগে ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর ডিএসইর প্রধান সূচক নেমেছিল ৪ হাজার ৯২৪ পয়েন্টে। ওইদিনের পর বুধবার সূচক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।
এদিকে, পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতনের পেছনে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট একটি বড় কারণ বলে মনে করছেন ডিএসই’র সাবেক সভাপতি মো. শাকিল রিজভী। তিনি বলেন, দেশের আর্থিক সেক্টরের সার্বিক প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েছে। বিশেষ করে সা¤প্রতিক সময়ে একটি লিজিং কোম্পানি অবসায়নের কারণে এই খাতে ব্যাপক ধস নেমেছে। যার প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েছে।
তিনি বলেন, স¤প্রতি গ্রামীণফোনের শেয়ার নিয়ে অস্থিরতা এবং আইপিও‘র মাধ্যমে ৫শ’ কোটি টাকা তুলে নেওয়ায় পুঁজিবাজারে কিছুটা তারল্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে পুঁজিবাজারে এমন দরপতন হচ্ছে। এছাড়াও সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে এমন ঘোষণা নিয়ে বাজারে নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে, এসব কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে।
এদিকে, বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৫৩টি কোম্পানির ১২ কোটি ৮৩ লাখ ৬৩ হাজার ১২৬ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩৭টির, কমেছে ২৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দাম। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৭৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে নেমে আসে। ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৩৬ পয়েন্ট, ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৫ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসইতে ৫০২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
অন্যদিকে, বুধবার আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৬১টি কোম্পানির ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪০টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩৬টির, কমেছে ২১০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইতে ১৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আগেরদিন সিএসইতে কেনাবেচা হয়েছিল ৬৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২১৪ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ১৪ পয়েন্ট নেমে আসে। আগের দিন সিএসইর সূচক ছিল ১৫ হাজার ২২৮ পয়েন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।