পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাইকে হত্যার দায় চাপানোর ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এমন ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে এটি হবে দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
গতকাল সোমবার ওই মামলার নথি তলব চেয়ে আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আবেদনের পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৯ জুন। ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে শুনানিতে যুক্ত হতে বলা হয়েছে। ‘পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’ শিরোনামে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. শিশির মনির। সরকার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, একজন বাবা তার এক সন্তানকে হারালেন। ওই সন্তান হত্যার অভিযোগে বড় ছেলে, যার বয়স ১২ বছর সে হয় আসামি। উল্টো বাড়িঘরও ছাড়তে হয়েছে সন্তানের বাবা-মাকে। ঘটনাটি অমানবিক।
তিনি বলেন, ১২ বছরের একটি শিশুকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হলো। শিশু আদালতের সামনে এলো। অথচ আইন থাকার পরও কোনো পদক্ষেপ নেই। এ কারণে বিষয়টি দেখভালের জন্য আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। যাতে ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে সুষ্ঠু বিচারসম্পন্ন হয়।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সি বড় ভাইকে। সে বছর ২৫ আগস্ট বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাটাখালি গ্রামের একটি পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের লাশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় তার বড় ভাই সৌরভকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেওয়া হয়। এ মামলায় এখন বাড়ি ছাড়া গোটা পরিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।