রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মৎস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত উজানচর মরা পদ্মা নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে মাছের সাথে মারা পড়ছে অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ ও
প্রাণি। ধ্বংস হচ্ছে জলাশয়ের জীববৈচিত্র। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় লোকমান গায়েনের নেতৃত্বে বিল্লাল হোসেন, আতিয়ার মণ্ডল, মতি ডা. শামসুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন এ মাছ ধরার সাথে জড়িত।
সরেজমিনে জানা গেছে, মরা পদ্মা নদীর (উজানচর বদ্ধকোল) নতুন ব্রিজের উত্তরে সোনালী হ্যাচারীজ এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে পানিতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করছে অসাধু চক্রটি। তারা জলাশয়কে বাঁশ-খুটি ও লম্বা পলিথিন দিয়ে খণ্ড খণ্ড ছোট করে নেন। অতপর রাতে এতে বিষ প্রয়োগ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে জলাশয়ের মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। এরপর তারা বেড় জাল দিয়ে সহজেই সে মাছ সংগ্রহ করে। পরে রাতের আঁধারে সে মাছ বিভিন্ন বাজারে পাঠিয়ে বিক্রি করে। এভাবে চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয় শাহজাহান শেখ, জাহিদুল ইসলাম, হৃদয়, সোহেল রানাসহ অনেকেই জানান, তারা এ জলাশয় হতে গত কয়েকদিন ধরে মরে ভেসে ওঠা বড় বড় বোয়াল, রুই, কাতল, শোল, গজার, আইড়, বাইনসহ বিভিন্ন মাছ সংগ্রহ করছেন। এছাড়া নানা জাতের প্রচুর ছোট মাছ মরে ভেসে আছে। তবে সেগুলো কেউ নেয় না। এর বেশির ভাগই পচা। পানিতে বিষ দেয়ার কারণে এভাবে মাছ মরে ভেসে ওঠে বলে তারা জানান।
অভিযুক্তদের মধ্যে লোকমান গায়েন মুঠোফোনে জানান, পুরো বদ্ধ জলাশয়টি তিনি ১৪২৭-১৪৩০ সালের জন্য সরকারিভাবে লিজ নিয়েছেন। জলাশয়ে মাছ চাষ করা ও ধরা তার অধিকার। তবে, বিষ দিয়ে মাছ শিকারের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক খান মামুন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। জলাশয়ে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।