পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে সোমবার মানে ২১শে জুন থেকে ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা প্রদান শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রাথমিক অবস্থায় ঢাকার তিনটি হাসপাতালে এই টিকা প্রদান করা। হবে।
ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে রোববার এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই টিকার ট্রায়াল বা ফার্স্ট-রান শুরু করা হচ্ছে।
প্রতিদিন ১২০ জনকে টিকা দেয়া হবে।
সেক্ষেত্রে যারা আগে থেকে নিবন্ধন করে ছিলেন, কিন্তু টিকা দিতে পারেননি তারা অগ্রাধিকার পাবেন।
টিকার দেয়ার পর এক সপ্তাহ টিকা গ্রহীতাদের ওপর টিকার প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এরপর মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে সেকেন্ড-রান বা গণটিকা প্রদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক হক।
সেকেন্ড-রান যখন শুরু হবে তখন হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
যিনি প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা পাবেন তাকে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবেও সেটাই দেয়া হবে।
জুনের শুরুতে মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি কোভ্যাক্সের এক লাখ ছয়শো বিশ ডোজ টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল ফাইজারের টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।
এত কম তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণের হিমাগার ঢাকার বাইরে নেই, সে কারণে শুধু ঢাকাতেই এ টিকা দেয়া হবে।
মে মাসে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজারের টিকা দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার পর সেটি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ ঠেকাতে ৮৮ শতাংশ কার্যকর।
আর যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সেটি ৯৩ শতাংশ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা প্রদানের মাধ্যমে গণ টিকাদান কর্মসূচী শুরু করা হয়।
কোভিশিল্ডের এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা পেয়েছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু ভারত থেকে টিকা আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ার পর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য আরো চারটি টিকার অনুমোদন দেয়, এর মধ্যে ফাইজারের টিকাটি অন্যতম।
এর মধ্যে দুই দফায় চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনাভ্যাক টিকার ১১ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ, যা ১৯শে জুন প্রদান শুরুর মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের গণটিকাদান শুরু করেছে সরকার।
এ পর্যায়ে প্রতি জেলায় একটি কেন্দ্রে চীনের সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে।
সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।